মূলত বাজারে ল্যাপটপ এনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং। এখন এই ল্যাপটপ উৎপাদনই বন্ধ। বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়ে বিশ্ব কাঁপাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল ব্র্যান্ড স্যামসাং। নতুন খবর হচ্ছে, ভাঁজযোগ্য ওএলইডি ডিসপ্লের ল্যাপটপ দিয়ে আবারও বাজারে আসতে যাচ্ছে স্যামসাং ল্যাপটপ।
গিজমোচায়নার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে ভাঁজযোগ্য ল্যাপটপ বাজারে আনতে যাচ্ছে স্যামসাং। ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের ল্যাপটপ তৈরিতে স্যামসাং উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। নতুন এই ল্যাপটপটিতে ১৭ দশমিক ৩ ইঞ্চির প্যানেল থাকতে পারে। এছাড়া বন্ধ করা অবস্থায় এতে সবচেয়ে বড় স্ক্রিন ডায়াগনাল তৈরি হবে।
সম্প্রতি আসুস জেনবুক ১৭ ফোল্ড ওলিড মডেলের ল্যাপটপ বিশ্ব বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। আসুসের নতুন এই ল্যাপটপে রয়েছে ১২তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর। ভালো গ্রাফিক্স সুবিধা পেতে রয়েছে ইন্টেল আইরিস এক্সই জিপিইউ। ১৬ জিবি এলপিডিডিআর৫ র্যামের ল্যাপটপে ওয়ান টেরাবাইট এসএসডি স্টোরেজ রয়েছে।
এই ল্যাপটপে রয়েছে ১৭.৩ ইঞ্চি ফোল্ডেবল ওলেড টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, যার রেজুলেশন ১,৯২০ বাই ২,৫৬০ পিক্সেল। ডিসপ্লে ৫০০ নিট ব্রাইটনেস সাপোর্ট করে। ফোল্ড করার সময় স্ক্রিনটির আকার কমে হবে ১২.৫ ইঞ্চি, যার রেজুলেশন ১,২৮০ বাই ১,৯২০ পিক্সেল।
পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য জেনবুক ১৭ ফোল্ড ওলিড ল্যাপটপে থাকছে ৭৫ ওয়াটআওয়ারের ব্যাটারি। স্ক্রিন ফোল্ড করা থাকলে ৯.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং খোলা থাকলে ৮.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। সাথে ইউএসবি টাইপ-সি ৬৪ ওয়াট পাওয়ার অ্যাডাপ্টার রয়েছে। আসুস এরগোসেন্স ব্লুটুথ কীবোর্ড এবং টাচপ্যাড ছাড়া ল্যাপটপের ওজন ১.৫ কেজি এবং ব্লুটুথ কীবোর্ডের সাথে ওজন ১.৮ কেজি।
ডিভাইসটির বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে এইচপিও তাদের ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের ল্যাপটপ উন্মোচনে কাজ করছে এলজির সহায়তায়।