ভারতের হায়দরাবাদের স্নায়ুরোগ চিকিৎসক সুধীর কুমার স্মার্টফোনের ভুল ব্যবহারে কীভাবে চোখের ক্ষতি হয়, তা নিয়ে কয়েকটি টুইট বার্তা দিয়েছেন। অ্যাপোলো হাসপাতালের এই চিকিৎসক এক নারীর কথা উল্লেখ করেছেন, যিনি স্মার্টফোনের ভুল ব্যবহারের জন্য মাত্র ৩০ বছর বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তবে স্মার্টফোনের জন্য চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এ ধরনের আশঙ্কা সাধারণত দেখা যায় না।
কিন্তু টানা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, যেসব উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
ডার্ক মোডে ব্যবহার
ডার্ক মোডকে ডার্ক থিমও বলা হয়। এ মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি কালো রঙের হয় এবং লেখা সাদা রঙে দেখা যায়। ডার্ক মোড ব্যবহার করলে নীল আলোর নিঃসরণ কম হতে পারে। সেটিংস থেকে ডার্ক মোড চালু করা যায়।
পর্দার উজ্জ্বলতার সামঞ্জস্যতা
অনেক বেশি উজ্জ্বল কিংবা একেবারেই অনুজ্জ্বল পর্দা (ডিসপ্লে) এবং এর বৈপরীত্য কোনোটাই চোখের জন্য ভালো নয়। এগুলোর সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। যন্ত্রের নির্ধারিত (বিল্টইন) উজ্জ্বলতা সেটিংস ব্যবহারই এ ক্ষেত্রে উত্তম।
পলক ফেলুন
নিয়মিত পলক ফেলার ফলে চোখের আদ্রর্তা বজায় থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার চোখ বুলিয়ে নিন। প্রতিবার ১ সেকেন্ড সময় ধরে পলক ফেলুন।
স্ক্রিনটাইম নির্ধারণ করা
যন্ত্রের পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিনটাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের সেটিংস থেকে এটি ঠিক করা যায়।
নাইট শিফট বা নাইট লাইটের ব্যবহার
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নাইট লাইট এবং আইফোনের জন্য নাইট শিফট সুবিধাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ফিচারের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পর্দার রং ও উজ্জ্বলতায় সামঞ্জস্যতা আসে।
লেখার আকার বড় করা
স্মার্টফোনে লেখার আকার (ফন্ট সাইজ) বড় রাখা ভালো। ছোট আকারের লেখার ব্যবহার চোখের ওপর চাপ ফেলে এবং ক্ষতি করে। বড় আকারের লেখা সহজে পড়াও যায়।
স্মার্টফোনের পর্দা পরিষ্কার রাখা
প্রতিনিয়তই স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে এর পর্দাও নোংরা হয় অনেক বেশি। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও চলে আসে। এ ছাড়া অপরিচ্ছন্ন পর্দা আমাদের চোখের ওপর চাপ ফেলে। পর্দা পরিষ্কারের সময় নরম বা মাইক্রো ফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
২০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা
স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এর মানে হলো, প্রতি ২০ মিনিটে আপনাকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এটি আপনার চোখ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।