১২ সেপ্টেম্বর উন্মোচিত হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন আইফোন ১৫ সিরিজ। নতুন ফোন নিয়ে প্রযুক্তি মহলে চলছে শোরগোল। এদিকে আইফোনের পুরনো মডেল ১২ নিষিদ্ধ করল ফ্রান্স। ফ্রান্স সরকারের মতে, এই ডিভাইসটি উচ্চ রেডিয়েশন তৈরি করছে, যা দেশে খারাপ প্রভাব ফেলছে।
ফ্রান্সের এজেন্সি অব ন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাপলের আইফোন ১২ থেকে নির্গত বিকিরণকে (রেডিয়েশন) বিপজ্জনক বলে মনে করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ ) একটি স্পেসেফিক অ্যাবরজপশন রেট (এসএআর) লিমিট রয়েছে। এই লিমিট ছাপিয়ে যাচ্ছে আইফোনের রেডিয়েশন।
এসএআর কী?
যেকোনো একটি ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, যা আমাদের শরীর শোষণ করে, তা এসএআর-এ পরিমাপ করা হয়। ফরাসি সংস্থার মতে, আইফোন ১২-এর এসএআর রেট ৫ মিলিমিটার দূরত্বে প্রতি কিলোগ্রামে ৫.৭৪ ওয়াট, যা ইইউ-এর নির্ধারিত সীমার চেয়ে ১.৭৪ ওয়াট বেশি।
অ্যাপল অভিযোগ মেনে নেয়নি
অ্যাপল ফ্রান্সের এই অভিযোগ মেনে নেয়নি। তাদের দাবি আইফোন ১২ মডেলের রেডিয়েশনের মান যতটা হওয়ার কথা, ঠিক ততটাই রয়েছে। এই ফোন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছে।
অ্যাপলের মতে, ২০২০ সালে বাজারে এই মডেলটি ২০২১ সালেই ফ্রান্সের রেডিয়েশন টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তাহলে হঠাৎ কেন এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ আইফোন ১২ রেডিয়েশনেরর বিরুদ্ধে পাওয়া যায়নি, যা মানুষের ক্ষতি করছে। ইইউএবং গ্লোবাল রেডিয়েশন স্ট্যান্ডার্ড, উভয়ের রেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ইইউ-এর নির্ধারিত সীমা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। তবে ফ্রান্সের পর এবার অন্যান্য দেশেও রেডিয়েশন রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। স্মার্টফোন বিক্রি করার আগে, এর সমস্ত পরীক্ষা করা হয়, যাতে দেখা হয় স্মার্টফোনটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপ কি না। বর্তমানে এই বিষয়ে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি, তাদের মতে বিকিরণের হার তাদের সীমা অতিক্রম করেনি। এবার ফ্রান্সের সরকারের পরের পদক্ষেপ কী হবে, এখন সেদিকেই নজর থাকবে।