আইফোন সারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। নতুন মডেল বাজারে আসতে না আসতেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে আইফোনের জন্য। দামের এত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এটির জনপ্রিয়তা এতটুকু কমে যায়নি। কেনো মানুষ আইফোনকে এতটা ভালোবাসে সেসব কারণ খুঁজে দেখা হবে আজকের আর্টিকেলে।
আইফোনের নকশা অনন্য এবং এখানে ইউনিক ডিজাইন দেখতে পাওয়া যায়। ফলে অন্যান্য ডিভাইস থেকে এটিকে সহজে আলাদা করে ফেলা সম্ভব। তাছাড়া আইফোনে একটি মাত্র বাটন ব্যবহার করে মেইন মেনুতে প্রবেশ করা সহ অনেক কাজ করে ফেলা সম্ভব।
কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে সাধারণত তিনটি বাটন বা একাধিক বাটন দেখতে পাওয়া যায়। আইফোন ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েডের একাধিক বাটনকে ঝামেলা মনে করেন। তাছাড়া আইফোনের ইন্টারফেসে আপনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করবেন তা এন্ড্রয়েডে সম্ভব না।
আইফোনের সফটওয়্যার আপনাকে স্মুথ অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম। সফটওয়্যার এর মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। বর্তমান ডিজিটাল যুগে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আইফোনের ব্যবহারকারীদের তথ্য সহজে হ্যাক করে নেওয়া সম্ভব নয়।
আইফোনের নিরাপত্তা ইস্যুতে খুবই মনোযোগী অ্যাপল। আইফোন ব্যবহারকারীদের তথ্য সহজে হ্যাক করা যায় না। এটি এতটাই নিরাপদ যে গোয়েন্দা সংস্থা বা অথরিটি অনুরোধ করলেও অ্যাপল ব্যক্তিগত তথ্য দিতে চায় না।
অ্যাপলে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার সুযোগ নেই। অ্যাপল স্টোর থেকে আপনি সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন নামিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে অনুমতি ব্যতীত অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ঢুকে পড়ে যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
আইফোনের যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করে থাকে অ্যাপল। পাশাপাশি গুণগত মানে তারা ছাড় দিতে রাজি নয়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে সবসময় এমনটি দেখা যায় না। এজন্য আইফোন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আইফোনের অপারেটিং সিস্টেমে নতুনত্ব এবং চমক থাকে যা ব্যবহারকারীরও বেশ পছন্দ করে। তাদের অপারেটিং সিস্টেমের ফিচার সবাইকে মুগ্ধ করে। অ্যাপলের ইকোসিস্টেম তাদের জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ।
অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ, স্মার্টফোন এবং আইপ্যাড একটি ওপরের সাথে সহজে কানেক্টেড হয়ে সুন্দর ইকো সিস্টেম গড়ে তোলে। পাশাপাশি তাদের এয়ারপোড, ব্লুটুথ এর মাধ্যমে কানেক্ট করে সহজে ব্যবহার করা যায়। অনেক বছর পরেও সফটওয়্যার আপডেট পাওয়া যায় এবং সার্ভিস সেন্টার থেকে সুবিধা পাওয়া যায় যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে।