সম্প্রতি ইসলাম বিরোধী, সন্ত্রাসবাদের সমর্থক, পর্নগ্রাফি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন সব কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। গত বুধবার এক সরকারি সংস্থাকে দেয়া হয়েছে ডিজিটাল কনটেন্ট সেন্সরের ক্ষমতা।
প্রয়োজনে সেই কন্টেন্টে কাটছাট করারও অধিকার থাকবে এই নিয়ামক সংস্থার। হতে পারে জরিমানাও। এমনকি হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, ৩.১৪ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা নেওয়া হবে যদি ইসলাম বিরোধি কোনও মন্তব্য এই মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়।
তবে এই প্রয়াসকে কড়া নজরে দেখছে ইন্টারনেট জায়েন্টরা। গুগল ফেসবুক, টুইটারের মতো সংস্থাগুলোর যৌথ মঞ্চ এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে এর কড়া নিন্দা করা হয়েছে।
এআইসির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান কনটেন্ট সেন্সরের যে পদ্ধতির কথা বলছে তাতে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে পাকিস্তান সরকার যেভাবে নিশানা করছে তাতে আমরা শঙ্কিত। সরকারের অস্বচ্ছ পদ্ধতির সেন্সর নিয়ম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে এআইসি।
এআইসি আরও জানিয়েছে, সেন্সরের ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ডিজিটাল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের পক্ষে পাকিস্তানিদের জন্য পরিষেবা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
তবে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতির কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয় নি।
এর আগে কনটেন্ট সেন্সর না করায় টিকটক নিষিদ্ধ হয় দেশটিতে। পরবর্তীতে কনটেন্ট সেন্সরের প্রতিশুতিতে টিকটক ফিরেছে পাক সোশ্যাল মিডিয়ায়।