সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের হাজারো তারুণ্যের সাফল্য আর অর্জনগাঁথা শোনা যায় হরহামেশাই। প্রতিনিয়ত এমন সাফল্যের ঝাঁপি খুলে আলোর নিশান হয়ে ছুটেচলা এক ঝাঁক তরুণ দেশ ছাপিয়ে বাইরে থেকেও আনছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড’ সংস্থা ‘ইন্ডিয়া এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে থাকে। এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়া জিহাদ (ছদ্মনাম) এর আগ্রহের শেষ নেই, তার দাবি তিনি একাই নির্বাচিত হয়েছেন মানবিক এই পুরস্কারের জন্য। গত বছর আবেদন করে এ বছর পেয়েছেন পুরস্কার। মুঠোফোনে তিনি বলেন, এই পুরস্কার আনতে আমার সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এটা বাণিজ্যিক পদক নয়, আমার মানবিক কাজের স্বীকৃতি। আপনাদের যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে ভারতে পুরস্কার দেয়া কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
রাকিব (ছদ্মনাম) এ মাসেই আবেদন করেন ভারতের পুরস্কারের জন্য, আবেদনের সপ্তাহ না পেরোতে ইমেইল আসে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার এই অর্জন কুরিয়ারের মাধ্যমে চলে যাবে বাংলাদেশে। টাকা নিতে হলে ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে হবে সাত হাজার টাকা। অনুসন্ধান করে জানা যায়, ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড নামের এই বেসরকারি সংস্থা ‘ইন্ডিয়া এক্সিলেন্স এ্যাওর্য়াড’ এর জন্য সাত হাজার টাকা নিয়ে থাকেন, টাকা পরিশোধ করলে পুরস্কার চলে আসে কুরিয়ারের মাধ্যমে। পুরস্কার হিসেবে থাকে ক্রেস্ট, সনদ, মেডেল, চাবির রিংসহ অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় কিছু জিনিস।
তবে এ স্বীকৃতি কোনো অর্জন কিংবা সাফল্যের নয়! বরং হাজার খানেক টাকার বিনিময়েরই মিলছে ভারতের একটি সংস্থা থেকে নাম সর্বস্ব এ পদক। ফেসবুকে নিজেদের আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তর করার উদ্দেশে কিশোর ও তরুণরা সেই পাঁতা ফাঁদে পা দিয়ে লুফে নিচ্ছেন এসব ভুয়া স্বীকৃতি।
রাজিব (ছদ্মনাম) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, দেশে তিনি একাই ভারতের এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।