জনপ্রিয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে শত শত ভুয়া পেজ চালাচ্ছে একটি চক্র। এসব পেজে তার কণ্ঠ নকল করে অবৈধ ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং ছদ্মবিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে ব্লু-ব্যাজযুক্ত প্রোফাইল পিকচার জালিয়াতি করে এই চক্র সহজেই গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করছে। ফলে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, আর এতে চিকিৎসক হিসেবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
আসল পেজ ডাউন, প্রতারণা প্রতিরোধে ব্যাহত উদ্যোগ
একইসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে ডা. জাহাঙ্গীর কবির জানান, “আমার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি বন্ধ করে দেওয়ায় জনগণকে সতর্ক করতেও পারছি না। আমি ওষুধ বিক্রি করি না, লাইফস্টাইল পালনের মাধ্যমে মানুষকে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকার পরামর্শ দিই।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এবং ইউটিউব ও ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সতর্কতামূলক বার্তা ছড়িয়েছেন।
আইনি নোটিশও আসে, পরে প্রত্যাহার
এ ধরনের বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে, সম্প্রতি এক আইনজীবী ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠান, তবে পরবর্তীতে প্রকৃত তথ্য বুঝতে পেরে সেটি প্রত্যাহার করে নেন।
রোগীরা কী বলছেন?
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কিছু রোগী সরাসরি সাংবাদিকদের বলেন— চট্টগ্রাম থেকে আসা মিনহাজ বলেন, “তিন দিনেই ওষুধ ছাড়াই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”
আব্দুল গফুর সরকার জানান, “প্রথম দিন ৬২ কেজি ওজন ছিল, এখন ২ কেজি কমেছে। আজ থেকে খাদ্যাভ্যাস পাল্টাচ্ছি।”
৪৫০ জন কর্মীর সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র
সংবাদ সম্মেলন শেষে ডা. জাহাঙ্গীর কবির সাংবাদিকদের তার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখান, যেখানে ল্যাব, চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের চেম্বার, ব্যায়ামাগার, ‘ফুড ইজ মেডিসিন’ নীতিতে পরিচালিত খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন সেবা রয়েছে। পুরো সেন্টারে বর্তমানে ৪৫০ জনের বেশি লোক কাজ করছেন।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “আমি বলছি, কেউ যেন আমার নামে চালানো কোনো পেজ থেকে ওষুধ না কেনেন। যারা জীবনধারা পরিবর্তনে আগ্রহী, শুধু তারাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমাদের লক্ষ্য, মানুষকে ওষুধমুক্ত জীবনে অভ্যস্ত করা।”