সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সিরাজুম মুনিরা। বাবা পেশায় ইমাম আর মা গৃহিণী। ইসলামী রীতিনীতিতে বড় হয়েও, মুনিরা হয়ে উঠেন একজন উদ্যোক্তা।
মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়ায় ছোটবেলা থেকে ধার্মিয় অনুশাসনে বড় হয় সিরাজুম মুনিরা। তবে বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন পূর্ণ স্বাধীনতা। তাই অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন নিজের পছন্দের বিষয় ইংরেজি সাহিত্যে। মা ও বড় বোনের ব্যবহৃত আবায়া, বোরখা, হিজারে প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা ও আগ্রহ তৈরি হয় মুনিরার। তাই গত ১৭ বছর যাবৎ নিজের ডিজাইনের আবায়া, বোরখা শোভা পায় নিজের ও নিকটাত্মীয়ের গায়ে।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে শুরু করেন শিক্ষকতা। পেশার স্বার্থে শেষ করেন বিএড কোর্স। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে, সন্তান আগমন ও নিউমনিয়ায় শিক্ষকতায় তৈরি হয় দীর্ঘ গ্যাপ। এ গ্যাপে জেগে উঠে উদ্যোক্তা হওয়ার আকাঙ্খা।
২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে ই-ক্যাব ও সার্চ ইংলিশ গ্রুপে রাত দিন সময় দিয়ে ই-কমার্স ও ইংরেজির বিভিন্ন দিকে অভিজ্ঞতা অর্জন ছিলো ক্যারিয়ারে অমূল্য সম্পদ।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আবায়ার গল্প ও ছবি শেয়ারের মাধ্যমে নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ডেভেলপ করেন এবং জানতে পারেন সম্ভাব্য গ্রাহকদের সমস্যা ও চাহিদা। সম্ভাব্য কাস্টমারদের অনুরোধে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করেন ”আবায়া স্টোরি”।
সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) গ্রুপে আমার উদ্দোক্তা জীবনের শুরু এবং গ্রাহকদের ৯০% এ গ্রুপের। গ্রুপের কল্যাণে ৫ হাজার টাকার পুজি নিয়ে উদ্দোগ শুরু করে করোনা কালীন সময়ে ৪ লক্ষ টাকার আবায়া বিক্রি করতে পেরেছি’।
তিনি আরো বলেন, উদ্দোক্তা হতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন হয় শেখার আগ্রহ, দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন চেষ্টা করা। ক্যারিয়ারের সকল পরামর্শ পেয়েছি ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রাজিব আহমেদ ভাইয়ার কাছে।