ঈদুল আজহায় ফ্রিজ ক্রেতাদের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজার কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও থাকছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ হাজার হাজার ফ্রি পণ্য।
এ উপলক্ষ্যে শনিবার (২৯ জুন, ২০১৯) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজন করা হয় এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের। যার স্লোগান হচ্ছে ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই সুযোগ থাকছে ঈদুল-আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, হুমায়ূন কবীর, এস এম জাহিদ হাসান, আবুল বাশার হাওলাদার, মোহাম্মদ রায়হান, আরিফুল আম্বিয়া, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও শাহজাদা সেলিম, অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম ভূঁইয়া, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন ক্রেতা। এরপর ফিরতি এসএমএস-এ ক্রেতাকে টাকার পরিমাণ, ক্যাশ ভাউচার অথবা ফ্রি পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে।
অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ ফ্রি পণ্য এবং নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আগের তিন সিজনে নতুন গাড়ি, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিট ছাড়াও ক্রেতারা কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য পেয়েছেন।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ জানান, এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছিল। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসেই প্রায় ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়ে গেছে। আর কোরবানির ঈদ ঘিরে আরো ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট রয়েছে। অর্থাৎ ঈদের মধ্যেই ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত ফ্রিজ। এছাড়া ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর অভিজাত গ্রাহকদের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চালানো যাবে।
দেশে তৈরি পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগতমান এবং শ্রেষ্ঠত্বের আতœবিশ্বাসে ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। পাশপাশি ফ্রিজ কম্প্রেসরের গ্যারান্টি সুবিধা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে। রয়েছে সহজ কিস্তি সুবিধায় কেনার সুযোগ।