অতিদ্রুত ফাইভজি চালু করা হবে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রযুক্তি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে পশ্চাৎপদতা ছিল , ৫জি প্রযুক্তির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ এই পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে বিশ্বের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। ৫জি চালুর জন্য অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সরকার ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণকে যে ডিজিটাল সেবা দেওয়া হবে তার মূলভিত্তি হবে স্মার্টফোন। সরকারি সেবার কন্টেন্ট যাই তৈরি হবে, যেভাবেই পরিচালিত হবে , কোন একজন নাগরিক যাতে তার সেবাসমূহ স্মার্টফোনে পেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে ।
মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর অবকাশ এবং মেডইন বাংলাদেশ মোবাইল রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত প্রণোদনাসহ বাংলাদেশের অনুকুল অবস্থা বর্ণনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে যারা মোবাইল উৎপাদন করছে তারা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সরকারের দেওয়া উৎপাদন বান্ধব এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্যদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ৯ থেকে দশ কোটি মোবাইল সেট ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৩০ভাগ স্মার্টফোন এবং বাকী ৭০ভাগ ফিচার ফোন। আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে ৭০ভাগ ফিচার ফোন স্মার্টফোনের রূপান্তর লাভ করবে। এই বিশাল বাজার প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের জায়গায় বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে যে পলিসিগত পরিবর্তন করেছে, এটি আমাদের আশেপাশের কোন দেশ করতে পারেনি। তিনি বলেন পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের জন্য যদি কোন ডিজিটাল ডিভাইসের কথা বলা হয় – সেটা মোবাইল ফোন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে একটি যুগান্তকারি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উল্লেখ করে বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো। গত দশ বছরে তার ১১শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ৪ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারি থেকে ১৫ কোটি ৯০ লাখ মানুষ এখন মোবাইল ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা মাত্র ৪০ লাখ থেকে ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারি মুহম্মদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
তিন দিনব্যাপী এই মেলা আগামী শনিবার শেষ হবে। পরে মন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।