প্রাথমিক অবস্থায় অনেক রোগ ধরা পড়লে তা থেকে সহজেই নিরাময় সম্ভব। যেমন ক্যানসারের মতো জটিল ব্যাধি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়, তাহলে তা থেকেও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। এই অসুখটি ত্বকের ছোট্ট একটি ফুসকুঁড়ি থেকেও হতে পারে। তবে কিছু অ্যাপ আছে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই ত্বক পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। আর এসব অ্যাপের মাধ্যমে আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন, শরীরে এই রোগের উপস্থিতি আছে কি না! তবে শতভাগ নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে।
ত্বকের ফুসকুঁড়িতে ক্যানসার আছে কি না, তা অ্যাপে নির্ণয় করতে হলে স্মার্টফোনে ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে তার দিকে রাখতে হবে। অ্যাপগুলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যালগরিদমের (এআই) মাধ্যমে স্মার্টফোনেই আপনার ত্বকের খুঁটিনাটি জানতে পারে। আর এ থেকে ছবি তুলে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। তিনি তা দেখে উত্তরও দেন। পাশাপাশি অ্যাপগুলো ত্বকের যত্নআত্তির কথাও আপনাকে মনে করিয়ে দেয়। তাই চলুন এমন বিশেষ কিছু দরকারি অ্যাপের কথা জেনে নেই।
Miiskin:
অ্যপটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় সাধারণ ডিজিটাল ছবির থেকেও ভালো ছবি আসে। ফলে ত্বকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও চোখ এড়ায় না। আর ক্যানসার পরীক্ষা করতে ত্বকে জন্ম নেওয়া কোনো ফুসকুড়ির ছবি তুলে সেভ করে রাখতে পারেন।
কয়েকদিন পর আবার ছবি তুলে দেখে জিনিসটি আরও প্রকট হল কি না তা দেখে নিতে পারেন। তবে তেমন মারাত্মক কিছু হলে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।এই অ্যাপে ডাক্তারের সাথে পরামর্শের সেই ব্যবস্থাও আছে।
UMSkinCheck:
এই অ্যাপটি দেহের স্ক্যান করে ত্বকে কোনোও রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, বলে দিতে পারে। মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি অ্যাপটি দিয়ে কীভাবে স্ক্যান করবেন, তার বিস্তারিত বর্ণনাও দেওয়া থাকে।
পাশাপাশি এখানে কী কী সতর্কতা অবলম্বন জরুরি, সে তথ্যও দেওয়া আছে।
MoleScope:
Miiskin অ্যাপটির সাথে এই অ্যাপের অনেকটা মিল আছে। তিলের মতো কোনো বস্তু শরীরে বেড়ে উঠছে কি না, বা তার রং পরিবর্তিত হচ্ছে কি না অথবা সেটি ফেঁপে যাচ্ছে কি না, মোলস্কোপ অ্যাপটি এসবের দিকে বিশেষ নজর রাখে।