ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশব্যাপী ডাক অধিদপ্তরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও বিশাল জনবলকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে জনগণের জন্য সরকারের সমূদয় ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টান্তকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, পোস্টম্যান থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত প্রতিজন কর্মকর্তা -কর্মচারিকে ডিজিটাল উপযোগী জনসম্পদ হিসেবে তৈরি হতে হবে। এই লক্ষ্যে উপযোগী প্রশিক্ষণ কারিক্যুলাম তৈরির মাধ্যমে লাগসই প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ডাক প্রশিক্ষণ একাডেমিসহ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী আজ রোববার ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে ডাক অধিদপ্তরের সার্কেল ও ইউনিট প্রধানদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই নির্দেশ দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মহিবুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে পোস্টাল কেন্দ্রীয় সার্কেল, ঢাকা মেট্রো সার্কেল, চট্রগ্রাম ও রংপুর সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেলগণ, রংপুর ও ঢাকা অঞ্চলের জিএমগণ এবং পোস্টাল একাডেমির প্রিন্সিপাল ডাক বিভাগের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাবনা আছে তার চ্যালেঞ্জও আছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় রূপান্তরের সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ গত দশ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রায় আগামী ৫ বছরের ডিজিটাল প্রযুক্তি হবে অভাবনীয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাম, রোবটিক, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করে টিকতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের বিদ্যমান মানব সম্পদকে ভবিষ্যত প্রযুক্তি উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে – রূপান্তরের সাথে চলতে হবে। তিনি বলেন, যে প্রযুক্তি দিয়ে দুনিয়া চলবে ডাক বিভাগও তাই করবে। এই লক্ষ্যে ডাক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা অপরিহার্য বললেন মন্ত্রী।