সকালে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে মাত্র হাত চলে যায় মোবাইলের দিকে। কাজ বা পড়াশোনার ফাঁকে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দেয়া চলে। এমন কি আড্ডা মারতে মারতে বা কোথাও খেতে গিয়েও অনেকেরই মন থাকে মোবাইলে। নতুন কোনো নোটিফিকেশন না এলে চিন্তা হয়, ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক আছে তো?
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এ সবই হতে পারে মোবাইলে আসক্তির লক্ষণ। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, এই আসক্তির প্রভাব পড়েছে শিশু-কিশোরদের মধ্যেও। এছাড়া বিভিন্ন মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনছে নানা রোগও।
তাই এই আসক্তি কীভাবে কাটানো যায়, তা নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এ জন্য তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল অ্যাপও। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মোবাইল ব্যবহার করলে কোনো অ্যাপ সতর্কবার্তা পাঠায়, কোনোটি আবার বন্ধ করে দেয় ইন্টারনেট সংযোগ।
কোনো অ্যাপ আবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে বাধা দেয়। এ ভাবেই ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যবহারের সময় কমিয়ে ফেলা যাবে বলে দাবি করেছেন অ্যাপ-নির্মাতারা। কিন্তু যে বস্তুটির প্রতি আসক্তি রয়েছে, তার মাধ্যমেই কি এই আসক্তি কাটানো সম্ভব?
মনোবিদদের মতে, আসক্তি থেকে বের হওয়ার কোনো ওষুধ হয় না। এর প্রথম ধাপ নিজে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হওয়া। সারা দিনে কত ঘণ্টা মোবাইলের সাথে কাটছে, সেটা হিসাব করা। আর তার পাশে এই অ্যাপ অনেকটাই সাহায্য করবে।