নতুন ফোন কেনার পর অনেকেই পুরোনো ফোনটি অযত্নে ফেলে রাখেন বা বিক্রি করে দেন। চাইলেই কিন্তু পুরোনো ফোন কাজে লাগানো যায়। শিশুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে অস্থায়ী গুগল হোম স্পিকারসহ আরও নানাভাবে পুরোনো ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবেও কাজে লাগানো যায় পুরোনো ফোন। কীভাবে পুরোনো ফোন থেকে নিরাপত্তা ক্যামেরা তৈরি করা যায়, তার টিপস দেওয়া হলো।
প্রথম ধাপ: পুরোনো ফোনে সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাপ চালু করা
শুরুতে যেকোনো নিরাপত্তা ক্যামেরা অ্যাপ বাছাই করে নিতে হবে। বেশির ভাগ অ্যাপে স্থানীয় স্ট্রিমিং ব্যবস্থা, ক্লাউড স্ট্রিমিং, রেকর্ডিং ও ফুটেজ সংরক্ষণের মতো সুবিধা থাকে। সেসব থেকে যেকোনো একটি অ্যাপ নিয়ে সবকিছু ঠিক করে নিতে হবে। এরপর ঘরে সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে বসানো পুরোনো ফোনের স্ট্রিমিং করা ভিডিও অথবা ছবি, নতুন ফোনে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যাপটি হলো আলফ্রেড। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুটোতেই চলে। এটি নতুন ও পুরোনো দুই ফোনেই ইনস্টল করে নিতে হবে। নতুন ফোন থেকে অ্যাপটি চালু করার পর সূচনা পর্বটি সোয়াইপ করে Start চাপুন। এরপর Viewer বাছাই করে Next–এ যান। এরপর নিজের গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন ইন করতে হবে।
পুরোনো ফোন থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কাজ করতে হবে। তবে Viewer–এর জায়গায় Camera বাছাই করে নিতে হবে। আগের মতো একই গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: ক্যামেরা বসানোর স্থান নির্বাচন
সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার পর ক্যামেরা বসানোর জায়গা বাছাই করে নিতে হবে। বেশির ভাগ সময় বাড়ির প্রবেশমুখে অথবা পেছনের দিকে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে বেবি মনিটর হিসেবে আইপি ক্যামেরাও ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে পুরোনো অনেক ফোন পড়ে থাকলে নিজের সুবিধামতো জায়গায় নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে স্থাপন করা যেতে পারে।
তৃতীয় ধাপ: ক্যামেরা বসানো এবং চার্জ দেওয়া
সুবিধামতো জায়গায় ক্যামেরা বসাতে ট্রাইপড অথবা সাকশন কাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু ক্যামেরা ফোনটি ২৪ ঘণ্টায় স্ট্রিমিং করবে, তাই চার্জের প্রয়োজন হয়ে থাকে বেশি। তাই চার্জিং পয়েন্টের কাছাকাছি ক্যামেরা স্থাপন করা উচিত।
সূত্র: সিনেট