কেউ হয়ে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। কেউ কুমার শানু। কারো ঠোঁটে আবদুল হাদীর গান, কারো মুখে পিটবুল। ছোট ভিডিও বানানোর অ্যাপ টিকটক এভাবে মানুষকে রাতারাতি ‘বিখ্যাত’ বানিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউটিউবের মতো এখান থেকে আবার কেউ কেউ আয়ও করছেন!
টিকটক গত কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যের স্টার্টআপে পরিণত হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স অ্যাপটির মালিক। ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউব থেকে আয়ের সুযোগ থাকলেও টিকটক থেকেও যে আয় করা যায়, সেটি এতদিন শোনা যায়নি। লিনে বেইলি নামের এক তরুণী সেই ধারা শুরু করেছেন। কিন্তু কীভাবে?
টিকটকে বেইলির ফলোয়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার স্পনসর হয়। চলতি বছরের শুরুতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে তাদের নির্দিষ্ট গান বেইলির ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে ব্যবহার করার প্রস্তাব দেয়। এভাবে তিনি তাদের থেকে কয়েক দিনের ভেতর ১ লাখ টাকার মতো উপার্জন করেন।
বাজফিড নিউজকে বেইলি বলেন, ‘আমার এখন ৪০ লাখের বেশি ভক্ত। সপ্তাহে একটি স্পনসরড ভিডিও পোস্ট করি।’
ঠিক কতটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি কাজ করেন তা অবশ্য জানাতে চাননি।
অর্থ উপার্জনের বিস্তারিত কৌশলও বেইলি আর বলতে চাননি। তবে জানা গেছে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার দেবাইন দোলারমানি নামের একজনের সঙ্গে কাজ করেন। ২১ বছর বয়সী এই তরুণ বেইলির স্পনসরের বিষয়টি দেখভাল করেন।
টিকটক দিনে দিনে ইউটিউবের মতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। একে এখন বলা হচ্ছে ইউটিউবের ‘শর্ট ভার্সন’।
ইউটিউবে নিজের ইচ্ছামতো ভিডিও বানানো যায়। অন্যদিকে টিকটকে যায় ১৫ সেকেন্ড। এই সীমাবদ্ধতার ভেতর টিকটকের বড় পার্থক্য হচ্ছে চরিত্রায়ণে।
এই অ্যাপে খুব সহজে একজন মানুষ বিখ্যাত কোনো মানুষের সুরে কথা বলছেন। বিখ্যাত কোনো শিল্পীর কণ্ঠে মুখ মেলাচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিখ্যাত হওয়ার এই প্রবণতার কারণে টিকটকের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে।