বিকাশ থেকে রকেটে আবার রকেট থেকে বিকাশে, দেশের মোবাইল ওয়ালেটগুলোতে এমন পারস্পরিক লেনদেনের সুবিধা চালু হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ড্রাইভিং ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইনোভেশন ফর মিটিং এন্টারপ্রাইজ নিডস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি প্লাটফর্ম থেকে আরেকটি প্লাটফর্মে আর্থিক লেনদেন বাস্তবায়নে ‘ইন্টার অপারেবল পেইমেন্ট সল্যুশন’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ‘দেশের নাগরিকদের শতভাগ ডিজিটাল করতে তিনটি জিনিস দরকার। এক. নাগরিকদের যাচাইকৃত পরিচয় তথ্য, ডিজিটাল পেইমেন্ট প্লাটফর্ম এবং একটি প্লাটফর্মের সঙ্গে আরেকটি প্লাটফর্মের অপারেবিলিটি। এগুলোর প্রথম দুটি দেশে রয়েছে আর এখন কাজ করা হচ্ছে তৃতীয়টি নিয়ে’ বলছিলেন তিনি।
পলক জানান, প্রায় এক বছরের মধ্যে ইন্টার অপারেবল পেইমেন্ট সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে। এর ফলে একটি মোবাইল ওয়ালেট থেকে আরেকটি মোবাইল ওয়ালেটে আর্থিক লেনদেন করা যাবে, মানে বিকাশ থেকে সিওর ক্যাশে, নগদ থেকে আইপেতে বা এ ধরনের একটি প্লাটফর্ম থেকে আরেকটি প্লাটফর্মে লেনদেন করা যাবে।
পলক বলেন, আউটসোর্সিং এবং ডিজিটাল পণ্য ও সেবা থেকে ১০ বছর আগেও বৈদেশিক আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এটিকে এক বিলিয়ন ডলারে নিয়ে আসা হয়েছে। ‘সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী চার বছরের মধ্যে এটিকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা,’ উল্লেখ করেন তিনি।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাক হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের টিম লিডার ম্যানফ্রেড ফার্নহলজ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ট্রিনা ওভিয়েডো।