দেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিকূলতা দূরীকরণে উদ্ভাবনী সব সমাধান নিয়ে কাজ করছে পেপারফ্লাই। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘স্মার্ট রিটার্ন’র পরে ‘স্মার্ট চেক’ ফিচারের উদ্বোধন করলো প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি, পেপারফ্লাই কার্যালয়ে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অতিথিরা দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে পেপারফ্লাই’র প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ই-কমার্স খাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা সমাধানে কার্যকরী সমাধান নিয়ে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘রিটার্ন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, অনলাইন অর্ডার থেকে প্রায় ২৪ শতাংশ পণ্য ফেরত আসে। ফেরত আসা এসব পণ্য পুনরায় ডেলিভারি করতে ই-কমার্স ও তাদের লজিস্টিক পার্টনারদের নতুন করে ব্যয় বহন করতে হয়।
ফেরত আসা ২৪ শতাংশ পণ্যের মধ্যে ২১ শতাংশই ঘটে ক্রেতার অনিচ্ছা এবং ডেলিভারির সময় তার অনুপস্থিতির কারণে। বাকি ৩ শতাংশ ঘটে পণ্য কিংবা পণ্যের প্যাকেজিং- এর ঝামেলা বা ত্রুটি কিংবা দেরিতে ডেলিভারি দেয়ার কারণে। কিন্তু সবসময় এ সঠিকভাবে এর কারণ ও সংখ্যার হিসাব পাওয়া যায় না। সঠিক সময় পণ্য ফেরত আসার সঠিক কারণ জানা গেলে তা ই-কমার্স খাতের এক নম্বর সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।
‘রিটার্ন পারসেন্ট’ বা সরবরাহ করতে না পারা পণ্যের পরিমাণ হ্রাসে কার্যকরী সমাধান নিয়ে আসতে অনেকদিন ধরেই কাজ করেছে পেপারফ্লাই। যার ভিত্তিতে গত মাসে প্রতিষ্ঠানটি উন্মোচন করে ‘স্মার্ট রিটার্ন’ ফিচার। আর এখন নিয়ে এলো ‘স্মার্ট চেক’ ফিচার।
ক্রেতার সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পণ্য ফেরত আসার সমাধান নিয়ে কাজ করবে ‘স্মার্ট চেক’। এ ফিচার পেপারফ্লাই নিবন্ধিত মার্চেন্টদের সুযোগ করে দিবে তাদের ক্রেতাদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানার। এ তথ্যের মধ্যে থাকবে ক্রেতাদের অর্ডারকৃত পণ্যের প্রতি তাদের মনোভাব, কতো শতাংশ ক্রেতা পণ্য ডেলিভারি নিচ্ছে, কতো শতাংশ নিচ্ছে না ইত্যাদি তথ্য। যা ভবিষ্যতে মার্চেন্টদের ওই ক্রেতার পণ্য অর্ডার ও পণ্য ডেলিভারির অনুপাত এবং ত্রেতার ক্রয় স্বভাব সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে এবং সে অনুযায়ী মার্চেন্টরা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। নির্দিষ্ট অর্ডার ট্র্যাকও করা যাবে এ ফিচারের মাধ্যমে।
এ নিয়ে পেপারফ্লাই’র প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) রাহাত আহমেদ বলেন, স্মার্ট রিটার্নের পর স্মার্ট চেক নিয়ে আসতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যাত্রার শুরু থেকেই আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি লজিস্টিক খাতে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য। ‘স্মার্ট রিটার্ন’ ও ‘স্মার্ট চেক’ সে প্রচেষ্টারই ফল। সামগ্রিকভাবেই লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে চায় পেপারফ্লাই। আর এ প্রতিশ্রুতিতে আমরা ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবো।
বাংলাদেশে রিটেইল খাতে ই-কমার্সের পরিমাণ বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম কিন্তু এ বাজার আগামী দশকের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু, লজিস্টিক ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক তাই অনুষ্ঠানে অতিথিরা ভবিষ্যতে ‘স্মার্ট চেক’র মতো এ ধরনের আরও উদ্ভাবন নিয়ে আসার ব্যাপারে ভাবনা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।