গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে শুরু করে পরিধেয় টেক পণ্য-নানা প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে দিন কাটছে মানুষের। এতে একদিকে যেমন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন আগের তুলনায় সহজ হয়েছে, অন্যদিকে এসব প্রযুক্তি পণ্য কিনতে বেড়েছে ব্যয়।
যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তি খাতে মানুষের ব্যয় ততই বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছর শেষে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি পণ্য কেনার জন্য মানুষের সম্মিলিত ব্যয় আগের তুলনায় বেড়ে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর শেষে প্রযুক্তি পণ্য কিনতে বিশ্বব্যাপী মানুষ সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। মূলত নতুন নতুন প্রযুক্তির হেডসেট, মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজ বা ড্রোন, রোবোটিকস সিস্টেম, স্মার্টওয়াচের মতো পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য, স্মার্ট হোম ডিভাইসের প্রতি মানুষের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। আর নতুন মডেলের স্মার্টফোনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বরাবরই ছিল। এসব কারণে বছর শেষে প্রযুক্তি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সম্মিলিত বৈশ্বিক ব্যয় ৫ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে।
চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকের বাজার পর্যালোচনা করে আইডিসি জানিয়েছে, বছর শেষে প্রযুক্তি পণ্য কেনায় ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে থাকবে মোবাইল টেলিকম সার্ভিস বা ফোন এবং পারসোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস। কাঙ্ক্ষিত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মধ্যে ৩ দশমিক ১ শতাংশ অর্জিত হতে পারে এ দুটি খাত থেকে। বাকি ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসতে পারে রোবোটিকস, স্মার্ট হোম ডিভাইসের মতো নয়া প্রযুক্তি পণ্য থেকে।
আইডিসির কাস্টমার ইনসাইট অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বিভাগের গবেষণা ব্যবস্থাপক স্টেসি সুহু বলেন, চলতি বছর বাজারে চিরায়ত প্রযুক্তি পণ্যের বেচাকেনা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্রুতই পরিস্থিতি বদলাবে। ২০২৩ সাল নাগাদ নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন ক্রেতারা। বিশেষত গৃহস্থালি পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার হওয়া রোবট, স্মার্ট লাইট, হোম সিকিউরিটি ও মনিটরিং সিস্টেমের মতো যেসব পণ্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সাবলীল করে তোলে, সেসব প্রযুক্তি পণ্যের বেচাকেনা কয়েক গুণ বাড়তে পারে। এসব প্রযুক্তি পণ্য প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে।