মার্কিন সরকার এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়েছে অনলাইনে, জানিয়েছে এক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান।
ভিপিএনমেন্টর নামে ওই নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্রমণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অটোক্লার্কের অরক্ষিত সার্ভার থেকে ১৭৯ গিগাবাইট ডেটা অ্যাকসেস করা যাচ্ছে। ডেটাবেইজটিতে সৈনিক এবং সাধারণ নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের পর ওই তথ্যভাণ্ডার তালাবদ্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ফাঁস হওয়া ওই তথ্যের মধ্যে গ্রাহকের পুরো নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, ফোন নাম্বার এবং ভ্রমণের তথ্য রয়েছে। মস্কো এবং তেল আভিভের মতো সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে ভ্রমণের তথ্য, হোটেল, কিছু ক্ষেত্রে রুম নাম্বারও পাওয়া গেছে এই ডেটাবেইজে।
ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে গ্রাহকের পেমেন্ট কার্ড নাম্বারও রয়েছে। কিন্তু এগুলো স্ট্যান্ডার্ড নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত।
বড় পরিসরে ওয়েব স্ক্যানিং এবং ম্যাপিং প্রকল্প চালানোর সময় তারা এই উন্মুক্ত ডেটাবেইজের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষক নোয়াম রোটেম এবং র্যান লোচার। তারা বলেন, এতে “মার্কিন সরকার এবং সেনা কর্মকর্তাদের কার্যক্রমের মূল্যবান তথ্য রয়েছে।”
“মার্কিন সরকারের সতর্ক ঘণ্টা বাজা উচিত।”
সাধারণ নাগরিকের এক লাখের বেশি ভ্রমণের তথ্যও ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই দুই গবেষক।
ভিপিএনমেন্টর জানায়, তারা এই ডেটার বিষয়ে অটোক্লার্ককে জানালেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি মার্কিন কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভ্রমণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাসের খবর পাওয়া গেছে। এবার ওই তালিকায় যোগ হলো অটোক্লার্ক।
চয়েস হোটেলস, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, র্যাডিসন, হায়াট, হিলটন, টেলিটেক্সট হলিডেইজ, চীনা হোটেল চেইন হুয়াঝু এবং অন্যান্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য হারিয়েছে বা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে।
২০১৮ সালে হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ম্যারিয়ট হোটেল চেইনের ৩৩ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়। ওই ঘটনায় চলতি বছরের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার প্রতিষ্ঠানটিকে ৯.৯ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা করার উদ্যোগ নেবেন বলে ঘোষণা করেন।