আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ফাইভ -জি প্রযুক্তি সেবা চালু করতে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাথে আজ বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে হুয়াওয়ে টেকনোলজি কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রুচ লি (ইৎঁপব ষর) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ কালে তিনি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে তার প্রতিষ্ঠানের সহায়তা প্রদানের এই আগ্রহের ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা ফাইভ জি প্রযুক্তির কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ায়ি বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত কারিগরি ও কৌশলগত বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রযু্িক্তর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমারা ফাইভ জি চালু করতে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনাসহ পথ নকসা তৈরি করছি। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের জন্য ফাইভ জি প্রযুক্তি দুনিয়ায় একটি অভাবিত উদ্ভাবন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তি আগামী দিনে পৃথিবীতে নতুন এক সভ্যতার জন্ম দিবে। ফাইভ জি কেবল কথা বলার জন্য শহুরে মানুষের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তি হবে গ্রামের মানুষের জন্য কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নের জন্য ব্যবসা এবং শিল্পের প্রযুক্তি, সকলের প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তির সাথে কুয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তির সমন্বিত হলে আগামী দিন প্রযুক্তি কোথায় পৌঁছূবে তা কল্পনাও করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে সূচিত ডিজিটাল এই বিপ্লব বাংলাদেশ পৃথিবীকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের পথ চিনিয়েছে উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন ডিজিটাল বিপ্লবকে শাণিত করতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করতে কারিগরি সহযোগিতার জন্য তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রুচ লি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে একটি মাইল ফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।