নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের কৃষকদের জন্য ৫০টি গ্রামকে ‘ডিজিটাল ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে এস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল কানেকটিভিটি (ইডিসি) মেগা প্রকল্পের অধীন একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সামিট ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল সামিট আয়োজন করে এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব সাউথ ভোলেন্টারস সোসাইটি, চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহর থেকে গ্রাম সবখানে পৌঁছে গেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। প্রথমে গ্রামে বসবাসকারী মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপন করা হয়েছে। দেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। আগামী দিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হবে ইমার্জিং টেকনোলজি। জ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে হবে।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে চারটি স্তম্ভ—মানবসম্পদ উন্নয়ন, কানেকটিভিটি, ই-গভর্ন্যান্স ও আইটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ দেশের সব এলাকায় ইন্টারনেট কানেকটিভিটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে সব ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি পৌঁছানো সম্ভব হবে। এস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের আওতায় দেশের গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সংযোগ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক রশীদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।