গত সপ্তাহে ‘বড় ধরনের’ সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল ইরান। সপ্তাহ না ঘুরতে দেশটি আরেকবার একই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গেছে। এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে পরপর দুটি সাইবার হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ইরানের টেলিকমিউনিকেশনমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ আজারি-জাহরমি। খবর বিবিসি।
ইরানের টেলিকমিউনিকেশনমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানান, ইরানের ই-গভর্ন্যান্স সেবাকে লক্ষ্য করে হ্যাকাররা বড় পরিসরে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে। গত সপ্তাহে প্রথম সাইবার আক্রমণটি পরিচালিত হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আরেকবার সাইবার হামলার শিকার হয় ইরানের ই-গভর্ন্যান্স সেবা।
তিনি আরো জানান, চীনাভাষী হ্যাকাররা ইরানের ই-গভর্ন্যান্স সেবা লক্ষ্য করে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে। তবে তাদের এ হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। সাইবার হামলা প্রতিরোধে ইরানে ‘দেজফা ফট্ররেস’ নামে একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। দলটি এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি বড় পরিসরের সাইবার হামলা ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
তবে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। সম্প্রতি কয়েক লাখ ইরানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য হ্যাক হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এসব খবরের সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির টেলিকমিউনিকেশনমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ আজারি-জাহরমি।
গত জুনে ইরানের অস্ত্র ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করে বড় পরিসরে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই সাইবার হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে খোদ মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছিল। ওই সময় নিউইয়র্ক টাইমের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পারস্য উপসাগরসংলগ্ন হরমুজ প্রণালিতে একটি মার্কিন মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজ বা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছিল ইরান। দেশটির দাবি, ওই ড্রোনটি ইরানি সীমানায় অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করেছিল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই ওয়াশিংটনের মদদে ইরানের অস্ত্র ব্যবস্থাপনার ওপর বড় পরিসরে সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। তবে এ সাইবার হামলার বিষয়ে ইরান কিংবা যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।