অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের স্মার্টফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে এবার তদন্তে নেমেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ে সৌদি আরব জড়িত থাকতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এফবিআই তদন্তকারীরা। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের কুখ্যাত পেগাসাস সফটওয়্যার নিয়ে বড় তদন্তের অংশ হিসেবে বেজোসের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের ধারণা, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারযুক্ত ৪.৪ মেগাবাইটের একটি ভিডিও ফাইল বেজোসের আইফোনে আসার পরই ডিভাইসটিতে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। আগের বছর একইভাবে এনএসও গ্রুপের পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিহ্নিত ১৪০০ সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর ফোনে আক্রমণ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ওয়াশিংটন পোস্ট মালিকের স্মার্টফোন হ্যাকিংয়েও জড়িত ছিলেন। এমন দাবি বরাবরই অস্বীকার করেছে সৌদি সরকার।
“এখন ফেডারেল তদন্তকারীরা খতিয়ে দখছেন বেজোস এবং অন্যান্য মার্কিন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের হ্যাকিংয়ে এনএসও গ্রুপের সফটওয়্যারের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে কিনা।”
হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এনএসও গ্রুপও।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেইসবুকের নিক ক্লেগ বলেন, এটি হোয়াটসঅ্যাপের ত্রুটি নয়, কারণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনে হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। এজন্য অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে দোষ দিয়েছেন তিনি।