বতর্মানে বাংলাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। এদিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিছু দেশে এই নেটওয়ার্ক চালু হলেও এখন অনেক দেশে তা বিস্তৃত করার কাজ চলছে।
ফাইভ-জির এই অবস্থার মধ্যে সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে দেশটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় সিক্স-জির প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এই দ্রুতগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিক্স-জির গতি হবে ফাইভ-জির চেয়ে ৮ হাজার গুণ বেশি। সেই হিসাবে সিক্স-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট।
সিক্স-জি নিয়ে গবেষণা কাজের জন্য দুটি গ্রুপ করেছে চীন। এর একটি করা হয়েছে এক্সিকিউটিবদের নিয়ে, যারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে থেকে কাজটির দেখভাল করবে। আরেকটি গ্রুপ করা হয়েছে একেবারে টেকনিক্যালদের নিয়ে, যারা কাজটি করবে।
দুটি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ের ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রযুক্তি কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজগুলো করবে।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অন্তত ১০ বছর সময় লেগেছে চীনের। সিক্স-জির উন্নয়নে এখন কাজ শুরু করলে তা সফল হতে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা। অবশ্য চীনের আগেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। গত বছরের জুনেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা।