চলতি বছরই যত দ্রুত সম্ভব মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে নিয়ে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হতে পারে।
পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীদেরকে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে এবং মস্তিষ্কের রোগীদের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আগের বছরই চিপযুক্ত ছোট একটি ‘থ্রেড’ উন্মোচন করেছে নিউরালিংক। দীর্ঘস্থায়ী থ্রেডটি গ্রাহক নিজ বাড়িতেও ব্যবহার করতে পারবেন এবং বর্তমানে যেসব বড় আকৃতির মস্তিষ্কের ইন্টারফেইস রয়েছে সেগুলোর বদলে ব্যবহার করা যাবে এটি।
জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিনিয়োগকারী ক্যাথি উডের এক টুইটার থ্রেডে মাস্ক বলেন, চলতি বছরই ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে নিয়ে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হতে পারে– খবর আইএএনএস-এর।
“উচ্চ ব্যান্ডওয়াইডথ এবং আরও নিখুঁত নিউরাল ইন্টারফেইসের প্রভাব যথাযথভাবে সমাদৃত হয়নি। চলতি বছরই যত দ্রুত সম্ভব এটি মানব দেহে বসাতে পারে নিউরালিংক,” জানিয়েছেন মাস্ক।
মাস্ক আরও বলেন, “না দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, আগের বছর যা দেখানো হয়েছিলো নতুন সংস্করণের সঙ্গে এটি তুলনা করুন। এটি দারুণ।”
নিউরালিংক স্টার্ট-আপের লক্ষ্য মস্তিষ্কে ফুটো করে পাতলা থ্রেড বসানো যা একটি ছোট প্রসেসরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। পরে এটি ব্লুটুথ দিয়ে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত হবে। সময়ের সঙ্গে এই ইনস্টল প্রক্রিয়া ‘মানব চোখে লেজার সার্জারির মতোই’ সহজ হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন তারা।
ভবিষ্যতে চিপটি তারবিহীন করার পরিকল্পনা রয়েছে নিউরালিংকের, যা অনেক পরিমাণে ডেটা স্থানান্তর করবে এবং মস্তিষ্কের সিগনালগুলো অ্যামপ্লিফাই করে পাঠাবে।
মাস্কের বিশ্বাস, এই প্রযুক্তি রোগীদেরকে কথা বলতে ও দেখতে সহায়তা করবে। মস্তিষ্কের মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে কথা বলে অপারগ ব্যক্তিরা কথা বলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নিউরালিংকের জেষ্ঠ্য বিজ্ঞানী ফিলিপ সেবস।