২০১৮ সালের মে থেকে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। দেশের বাজারেও এর কার্যক্রম শুরু করবে ব্র্যান্ডটি। ‘ডেয়ার টু লিপ’ ট্যাগলাইনে বিশ্বজুড়ে তরুণ স্মার্টফোনপ্রেমীদের প্রত্যাশার সীমা ছাড়িয়ে চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা দিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। গত দুই বছরে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রির বাজারে দ্রুত বর্ধনশীল এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি শীর্ষ সাতে স্থান করে নেয়।
২০১৯ সালে বিশ্ব স্মার্টফোন বাজারের ২২টি দেশে তাৎক্ষণিক প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে সমগ্র বৈশ্বিক বাণিজ্য কৌশল রপ্ত করে শীর্ষ ৫ মোবাইল হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে স্বীকৃতি লাভ করে। সমসাময়িকভাবে বিশ্বব্যাপী রিয়েলমি ইউজার ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রতিবছর ৫০০ গুন হারে বাড়ছে।
রিয়েলমি, উন্নতমানের পণ্যের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে হাল ফ্যাশনের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনধারা এনে দিচ্ছে। ব্র্যান্ডটির সকল প্রাইস রেঞ্জের পণ্যেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। যে কারণে রিয়েলমি ৬০টির বেশি বিশ্বের নামকরা অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটির বার্ষিক মোবাইল ফোন জরিপে রিয়েলমি এক্স-২ প্রো ডিভাইসটি ‘বেস্ট অব অ্যান্ড্রয়েড- ২০১৯’ খেতাব পায়। জিএসএমঅ্যারেনা রিয়েলমি এক্স-২ প্রো কে ‘বেস্ট স্মার্টফোন অব ২০১৯: নম্বর ১ ফ্ল্যাগশিপ কিলারের’ স্বীকৃতি দেয়।
২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে অনলাইন বাজার শেয়ারের ক্ষেত্রে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছে ভারতের বাজারে দুর্দান্ত অবস্থানে ছিলো রিয়েলমি। যা প্রতিষ্ঠানটিকে ভারতের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন শেয়ারের অংশীদার করে তুলছে ও সামগ্রিক বাজার শেয়ার বিবেচনায় ভারতে চতুর্থ শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে। এর ফলে, রিয়েলমি ভারতের তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
রিয়েলমি ফাইভজি ও এআইওটি প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করবে। ফাইভ-জি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা বিশেষত, গেম খেলার ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক ফাইভ-জি উপভোগ করতে পারবে। রিয়েলমি লিংক অ্যাপের মাধ্যমে রিয়েলমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলো শীর্ষ চারটি স্মার্ট হাবের (স্মার্ট স্ক্রিন, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট স্পিকার ও স্মার্ট ইয়ারফোন) সাথে একসঙ্গে যুক্ত থাকবে। যা দূর থেকে বিভিন্ন স্মার্ট পণ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইউনি স্মার্ট এআইওটি ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়তা করবে।
২০১৯ সালের অসাধারণ প্রাপ্তি রিয়েলমিকে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ২০২০ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির বিকাশের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, রিয়েলমি এর স্মার্টফোনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ধারাবাহিক চেষ্টা এবং ফাইভ-জি লক্ষ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইওটির পরিকল্পনা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের জন্য উন্নতমানের টেক লাইফ তৈরি করবে।
বাজারে এক্স৫০ ফাইভ-জি স্মার্টফোন উন্মোচনের মাধ্যমে রিয়েলমি আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যতে বিভিন্ন দামের ফাইভজি পণ্য চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ফাইভ জি জনপ্রিয় করার মাধ্যমে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও, বিশ্বের তরুণদের মাঝে ফাইভ-জি সহজলভ্য করার লক্ষ্য নিয়েও কাজ করছে ব্র্যান্ডটি।
দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা, শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ট্রেন্ডি পণ্য ও ফাইভ-জি এবং এআইওটি কৌশলগত পণ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে নতুন যুগের সূচনা করবে রিয়েলমি।