জার্মানিতে টেসলার গিগাফ্যাক্টরি বানানোর কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার পরিবেশবাদীদের পক্ষে আদালত এই স্থগিতাদেশ দেয়।
ইউরোপে টেসলার প্রথম গাড়ি ও ব্যাটারি কারখানা বানাতে জার্মানির বার্লিনের কেনা জমির গাছ কেটে বন পরিষ্কার করছিলো টেসলা। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত বন্ধ থাকছে সেই কাজ।
স্থগিতাদেশ সাময়িক বলেও জানিয়েছে আদালত, চলতি সপ্তাহেই আরও শুনানি আসতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
জার্মানিতে এই কারখানা বানানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছিলো পরিবেশবাদীরা। তাদের দাবি এই কারখানা ওই অঞ্চলের বন্য জীবন এবং পানি সরবরাহের জন্য হুমকি।
আগের বছরের নভেম্বরে ব্র্যানডেনবার্গের পূর্বাঞ্চল গ্রুয়েনহেইডে টেসলার প্রথম ইউরোপীয় কারখানা বানানোর ঘোষণা দেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক।
কারখানাটি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় পরিবেশবাদী এবং জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে। কারখানাটি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে জার্মানির ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলে ধারণা তাদের।
জার্মানিতে কারখানা বানাতে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি টেসলা। তবে প্রতিষ্ঠানের নিজের ঝুঁকিতে কারখানার জন্য জায়গা প্রস্তুত করার অনুমোদন দিয়েছে জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
কারখানার জন্য ৯১ হেক্টর বন পরিষ্কার করতে হচ্ছে টেসলাকে। এতে কাটা পড়ছে হাজারো গাছ।
গ্রুয়েনহেইডে কারখানার জন্য ৩০০ হেক্টর জমি কিনেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালে এই কারখানা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে টেসলার। ১২ হাজার কর্মীর মাধ্যমে এতে বছরে পাঁচ লাখ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুইটি এবং চীনের শাংহাইতে একটি গিগাফ্যাক্টরি রয়েছে টেসলার।