বৈশ্বিক প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে আধিপত্য বাড়ছে ওয়ানপ্লাসের। চীনভিত্তিক এ ডিভাইস ব্র্যান্ড ক্রমবর্ধমান ভারতের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অ্যাপল ও স্যামসাংকে টেক্কা দিচ্ছে। বাজেটসাশ্রয়ী ডিভাইস বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে ওয়ানপ্লাসের আধিপত্য অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রিমিয়াম স্মার্টফোন নির্মাতা অ্যাপল-স্যামসাংয়ের ওয়ানপ্লাস ভীতির ১০ কারণ নিয়ে আয়োজনের আজ প্রথম পর্ব—
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন বাজার এখন ভারত। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশটির প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেট বাজারের শীর্ষ অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ওয়ানপ্লাস, যা অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতের সাশ্রয়ী স্মার্টফোন বাজারে শাওমি, ভিভো ও অপোর কারণে সংকটে রয়েছে অ্যাপল-স্যামসাং। অন্যদিকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারেও ওয়ানপ্লাসের কারণে সুবিধা করতে পারছে না।
গত বছর ওয়ানপ্লাস ইন্ডিয়ার রাজস্ব ও মুনাফা দুটোই বেড়েছে। দি ইকোনমিক টাইমসের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর ওয়ানপ্লাস ইন্ডিয়ার রাজস্ব বেড়ে ১৫০ কোটি রুপিতে পৌঁছেছিল, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৩৭ কোটি ৯০ লাখ রুপি। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ওয়ানপ্লাস ইন্ডিয়ার নিট মুনাফা ছিল ৯০ লাখ ১০ হাজার রুপি, যা চলতি অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে।
চীনা ডিভাইস ব্র্যান্ড হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে ওয়ানপ্লাসই প্রথম টি-মোবাইলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গত বছর অক্টোবরে দেশটিতে ওয়ানপ্লাস ৬টি আনুষ্ঠানিভাবে উন্মোচন করেছে ওয়ানপ্লাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেশির ভাগ ব্র্যান্ড স্থানীয় মোবাইল ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ডিভাইস বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ানপ্লাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও অ্যাপল-স্যামসাংকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) তথ্যমতে, ব্র্যান্ড আনুগত্যের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্র্যান্ডের তকমাটি ওয়ানপ্লাসের দখলে। ওয়ানপ্লাসের ৩১ শতাংশ গ্রাহক পরবর্তী সময়েও একই ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে চায়। অন্যদিকে ব্র্যান্ড আনুগত্যের দিক থেকে একমাত্র অ্যাপল প্রতিষ্ঠানটির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
ব্র্যান্ড আনুগত্যের দিক থেকে ওয়ানপ্লাসের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে স্যামসাং। স্যামসাংয়ের ২৫ শতাংশ গ্রাহক পরবর্তী সময়ে একই ব্র্যান্ডের ডিভাইস ব্যবহার করতে চায়।