নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই ফক্স বিজনেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে চীন এটির প্রভাব কমাতে সক্ষম হবে।
“আমার কাছে মনে হয়, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে চীন। আপনি সংখ্যা দেখুন, এটি দিন দিন কমছে। আমি এখানে খুব আশাবাদী,” বলেন কুক।
চলতি মাসের শুরুতেই অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভাইরাসের কারণে চীনে প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা কমবে এবং দেশটিতে পণ্য উৎপাদনেও প্রভাব পড়বে।
চীনে পণ্য অ্যাসেম্বল করে থাকে অ্যাপল। পাশাপাশি উহানে সরবরাহকারী রয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়ানো শুরু করায় জানুয়ারিতে চীনের বিক্রয় কেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাপল। এখন আবার সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করা হচ্ছে। কিছু বিক্রকেন্দ্র খোলা রাখা হচ্ছে সীমিত সময়ের জন্য।
চীনের বাণিজ্যিক কার্যালয় এবং কন্টাক্ট সেন্টারগুলোও সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছিল অ্যাপল।
সাক্ষাৎকারে কুক আরও বলেন, চীনে কারখানাগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। “সবকিছু স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার এটি তৃতীয় ধাপ।”
মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ৮৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বের বাকি সব মহাদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনসহ প্রায় অর্ধশত দেশে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই হাজার ৮৫৮ জনে।