ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে ৫ লাখ টাকা করে ক্যাশব্যাক পেয়েছেন দুই জেলার আরো দুই ক্রেতা। তারা হলেন- নরসিংদীর নছিমন চালক ইসমাঈল মিয়া ও বরিশালের গৃহিণী আসমা আক্তার। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৬ এর আওতায় রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ও এয়ার কন্ডিশনার ক্রেতাদের জন্য প্রতিদিনই রয়েছে ৩৫ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজ কিনে ওই সুবিধা পান দুই ক্রেতা। এর আগে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর মো. সুমন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এ প্রক্রিয়ায় ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ক্যাশব্যাকের সুযোগসহ প্রতিদিন ৩৫ লাখ টাকার ক্যাশব্যাক এবং নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দিচ্ছে ওয়ালটন।
সোমবার (১৬ মার্চ, ২০২০) মাধবদী পৌরসভার ছোট গদাইয়ের চর এলাকার ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইসমাঈলের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘সাপ্তাহিক নরসিংদী কাগজ’-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আলহাজ্ব জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ওয়ালটনের ক্রেডিট মনিটর মিজানুর রহমান ও এরিয়া ম্যানেজার মাকসুদ আলমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
সাইমন সাদিক বলেন, ‘ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি। পণ্য রপ্তানি করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। ওয়ালটন আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, ওয়ালটন কথা দিয়ে কথা রাখে। আমাদের উচিত দেশীয় উৎপাদকদের উৎসাহ দেয়া।’
৯ সদস্যের যৌথ পরিবারের মেঝো ছেলে ইসমাঈল। টাকার অভাবে পড়াশোনা হয়নি। নছিমন আর মুদি দোকানেই চলে সংসার। সম্প্রতি প্লাজা থেকে ২৭ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ২৬৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর প্রোডাক্ট রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণ পর ৫ লাখ টাকা পাওয়ার খবর যায় তার মোবাইলে। ইসমাঈল জানান, বাসায় ব্যবহারের জন্যই ফ্রিজটি কেনা। ওয়ালটনের এসব অফার সম্পর্কে জানতেন না।
ওয়ালটন ফ্রিজের সার্ভিস ভালো আর দামও তুলনামূলক কম তাই ওয়ালটন ফ্রিজই পছন্দ। কিন্তু ফ্রিজ কিনেই ৫ লাখ টাকা পাবেন তা ভাবতে পারেননি। এই ৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা আরো বড় করবেন তিনি।
এদিকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে ২৫ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ২৪৪ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন দুই সন্তানের মা আসমা। অটোচালক স্বামীর আয়েই চলে সংসার। বিয়ের ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অভাব যেনো পিছু ছাড়ে না তাদের। বাকেরগঞ্জের খেজুরা ভরপাশা গ্রামে প্রায় সবার বাসায়ই ফ্রিজ আছে। টাকার অভাবে ফ্রিজ কেনা হয় না আসমার।
টিভিতে দেখেন ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনলে নানান সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া ওয়ালটন পণ্য ভালো সার্ভিস দেয়। আসমা আক্তার জানান, এসব কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেন। বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘রাঢ়ী ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ফ্রিজটি কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ৫ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। এই টাকা দিয়ে একটি পিক-আপ ভ্যান কিনবেন তারা।
রবিবার (৮ মার্চ, ২০২০) রাঢ়ী শোরুম-এর সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে আসমার হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম সাইদুর রহমান জাকির মোল্লা, বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির, সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ, ওয়ালটনের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মশিউর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শফিক হায়দার, রাঢ়ী শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম রাঢ়ীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ওয়ালটন ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। ফলে সব ধরনের ক্রেতাই উপকৃত হন। তাছাড়া দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে বহু বেকার ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এভাবেই সমাজ উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন সূত্র জানায়, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেট। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯, ৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস পয়েন্ট।
ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।