করোনাভাইরাস বাস্তবতায় বাসায় থাকতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। তাদের হাতে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন অ্যামাজন কর্মীরা। “আমরা সব স্থানের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা দিয়ে যাচ্ছি, বিশেষ করে যারা বয়স্ক, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। মানুষ আমাদের উপর নির্ভর করছেন।” – অ্যামাজনের ব্লগে লিখেছেন বেজোস। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
এবারই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস মহামারী প্রেক্ষাপটে নিজ মতামত প্রকাশ্যে জানালেন বেজোস। ওই ব্লগে বেজোস লিখেছেন, “আপনারা যে কাজ করছেন, তাতে আমি একা কৃতজ্ঞ নই। গ্রাহকদের কাছ থেকে আমি হাজারো মেইল পেয়েছি এবং সামাজিক মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ দেওয়া পোস্ট দেখেছি। আপানাদের প্রচেষ্টা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নজরে এসেছে, এবং এ সপ্তাহের শুরুতে এই টিমকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”
সম্প্রতি বেজোসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন চার মার্কিন সিনেটর। কর্মীদের সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। ঘটনাটির পরপরই কর্মীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি প্রকাশ করলেন বেজোস। সিনেটরদের চিঠির জবাব দিতে বেজোসকে মার্চের ২৬ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
শনিবারের চিঠিতে বেজোস জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মী এবং ঠিকাদারদের জন্য কয়েক লক্ষ মাস্ক কেনার অর্ডার করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ওই অর্ডারের মধ্যে খুব কমই হাতে এসে পৌঁছেছে। কারণ বিশ্বব্যাপী মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে, সরাসরি চিকিৎসা কর্মীদেরকে সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন বিভিন্ন দেশের সরকার।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যাপারে নতুন প্রটোকল নিয়ে এসেছে অ্যামাজন। যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারানো জনশক্তিকে সাময়িকভাবে অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করারও আহবান জানানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ নতুন কর্মী নিয়োগ পরিকল্পনার খবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
“আমাদের প্রতিদিন দেখা হচ্ছে, পদক্ষেপগুলোকে আরও উন্নত করে তুলতে বাড়তি পন্থা শনাক্ত করতে কাজ করছি, আপনারা জেনে রাখুন, অ্যামাজন নিজ দায়িত্ব পালন করা থামাবে না, এবং আমদের দিক থেকে সহায়তা প্রয়োজন এমন নতুন সুযোগের সন্ধান করা থামাবো না।”