যেকোন ভিসা কার্ড থেকে এখন খুব সহজেই কোন ধরনের চার্জ ছাড়াই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনা যাবে। বিকাশের অ্যাড মানি সেবায় দেশের লাখ লাখ গ্রাহক বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকের ইস্যুকৃত ভিসা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে মুহূর্তেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন।
এ সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) ।
বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে বিকাশ অ্যাপের অ্যাড মানি অপশন থেকে কার্ড টু বিকাশ এবং ভিসা নির্বাচন করে, ভিসা কার্ডের তথ্য সংযুক্ত করে, টাকার পরিমাণ, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ও বিকাশ পিন দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবেই টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
পরবর্তীতে সহজ, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনার সুবিধার্থে গ্রাহক চাইলে একটি বা একাধিক ভিসা কার্ডের তথ্য বিকাশ অ্যাপে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
ভিসা থেকে বিকাশে টাকা আনার এই অ্যাড মানি সার্ভিস গ্রাহকদের জন্য আরো উন্নত সেবা নিশ্চিত করবে এবং একই সাথে বিকাশের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল প্রদান, টিকিট কেনা, বিমার কিস্তি পরিশোধ, মানি ট্রান্সফার ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবহারে আরো স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে।
বিশেষ করে চলমান এই জরূরি পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা এজেন্ট পয়েন্ট গিয়ে ক্যাশইন না করে ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং তা প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতেও পারবেন।
ভিসার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টিআর রামাচন্দ্র বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের শক্তিশালী পার্টনারশিপগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে কাজ করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিকাশের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড বিল পরিশোধ সেবা শুরু করার পর এবার ভিসা গ্রাহকদের জন্য অ্যাড মানি সার্ভিস চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভিসা ও বিকাশের বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য এই সেবা, দেশজুড়ে ডিজিটাল পেমেন্টকে আরও সহজ ও ঝামেলাবিহীন করবে।“
বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, “ভিসার সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করবে যেখানে ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল আর্থিক সেবার মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক দেশজুড়ে ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগকে আরও বিস্তৃত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, ঝামেলামুক্ত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সেবার জন্য আমরা যে কঠোর পরিশ্রম করছি তা নগদ টাকার উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।“