যাত্রা শুরু করার নয় বছর পর ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে অবশেষে পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জারকে। ডেস্কটপ ব্রাউজারে অডিও ও ভিডিও কলের ব্যবহার শতভাগ বাড়ার হার দেখে মেসেঞ্জার অ্যাপটি ম্যাক ও উইন্ডোজ ডেস্কটপ অ্যাপ হিসেবে ছেড়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ব্রাউজার সংস্করণের মেসেঞ্জারে যেসব ফিচার আছে, তা অ্যাপ সংস্করণেও পাওয়া যাবে। তবে ডেস্কটপ অ্যাপ সংস্করণে চ্যাট থ্রেড দেখা আরও সহজ হবে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাসের এ সময়ে আমরা শারীরিকভাবে দূরে থাকলেও সবাইকে একসঙ্গে রাখার আরও নানা উপায় খুঁজছি।’
এক বছর আগে ফেসবুক তাদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে এফ-৮ সম্মেলনে মেসেঞ্জার ডেস্কটপ অ্যাপের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের এফ-৮ সম্মেলন করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হওয়ায় এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ সময় ডেস্কটপ অ্যাপের প্রয়োজন বোধ করে ফেসবুক। তাই বড় অনুষ্ঠান ছাড়াই এটি চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত মাসে ম্যাক সংস্করণে এ অ্যাপ পরীক্ষা করে দেখেছিল ফেসবুক। ২০১১ সালে ফেসবুকের উইন্ডোজ অ্যাপ প্রথম দেখা গিয়েছিল। কিছুদিন পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের বড় দুর্বলতা হচ্ছে এটি এখন কেবল ৮ জনের গ্রুপ ভিডিও কল সমর্থন করে। সেখানে জুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনে একত্রে ১০০ থেকে ৫০০ জন অংশ নিতে পারে। এ ছাড়া লিংকের মাধ্যমে মানুষকে কলে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ সুবিধা নেই মেসেঞ্জারে। তাই কোনো ওয়েবিনার বা সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মেসেঞ্জার কার্যকর নয়। মেসেঞ্জারে স্ক্রিনশেয়ার করার ফিচারটিও নেই। এতে ব্যবসার প্রয়োজনেও এটি ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। অবশ্য ফেসবুকের ওয়ার্কপ্লেস চ্যাট ডেস্কটপ অ্যাপে স্ক্রিনশেয়ারিং ফিচার আছে। ভবিষ্যতে মেসেঞ্জারেও এ ফিচার চলে আসতে পারে।
বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউনে থাকা লোকজন পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করছে।
এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, মেসেঞ্জারে গ্রুপ ভিডিও কল গ্রাহক বেড়েছে ৭০ শতাংশ। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম লাইভের বদলে গ্রুপ ভিডিও কলে আগের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে মানুষ। একইভাবে এক বছর আগের চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস এবং ভিডিও কলের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে। যেসব অঞ্চল করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়েছে, সে অঞ্চলগুলোয় কলের সংখ্যা বেড়েছে।