অ্যাপলের আইফোনের সিকিউরিটি বাগ ধরিয়ে দিয়ে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার জিতে নিল একজন এথিক্যাল হ্যাকার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৪ লাখ টাকা।
এই সিকিউরিটি বাগটি এতদিন অ্যাপলের কাছ ধরা পরেনি। এর মাধ্যমে আইফোনের ক্যামেরা হ্যাক করা সম্ভব ছিল। সারা পৃথিবীতেই এই ধরনের এথিক্যাল হ্যাকারদেরকে পুরস্কার দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয়।
ফোবসের বরাত দিয়ে গ্যাজেট নাউয়ের এক প্রতিবেদন বলা হয়, আইফোনে ওই সিকিউরিটি বাগ দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এবং এটি ওই হ্যাকার ধরিয়ে দেয়ার পর অ্যাপল ফোনের সমস্যাটি দূর করতে সক্ষম হয়েছে।
অ্যাপলের ফোনের সিকিউরিটি বাগ ধরিয়ে দেয়া ওই হ্যাকারের নাম রায়ান পিকরেন। যিনি একজন এথিক্যাল হ্যাকারা। সে অ্যাপলের নিজস্ব ব্রাউজার সাফারিতে সফটওয়্যার বাগ দেখতে পান। এতে সাতটি ফ্লোজ ছিল। যার মাধ্যমে আইফোনের ক্যামেরা হ্যাক করা সম্ভব ছিল।
এগুলোকে বলা হয় জিরো-ডে ভালনারেবেলিটিজ। যার মাধ্যমে আইফোনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া সম্ভব ছিল। যদি আইফোন ব্যবহাকারীরা ম্যালিসিয়াস সাইট ভিজিট করেন। তখন তাদের ফোনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতো।
পিকরেন এসব সিকিউরিটিজ ফ্লোজ গতবছরের ডিসেম্বর মাসে উৎঘাটন করতে সমর্থ হন। এবং বিষয়টি অ্যাপলকে জানান। অ্যাপল জানুয়ারি মাসে সাফারির ১৩.০.৫ আপডেট ভার্সনে ক্রুটি দূর করতে স্বামর্থ্য হয়। বাকি একটি সিকিউরিটিজ ফ্লোজ সর্বশেষ আপডেট ১৩.১ এর মাধ্যমে দূর করে।
ওই এথিক্যাল হ্যাকার জানায়, বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যাপলের সিকিউরিটি বাগ ধরিয়ে দিতে পেরে তার ভালো লাগছে। এর মাধ্যমে আইফোনের ব্যবহারকারীরাও স্বস্তি অনুভব করছেন।
অ্যাপল তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ডিভাইস ও সিস্টেমের বাগ বা সফটওয়্যার ক্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য বাগ বাউন্টি প্রোগামের আয়োজন করে। এটা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম। এর আগেও বহুবার এই ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে এথিক্যাল হ্যাকারদের পুরস্কৃত করা হয়।