করোনা প্রতিরোধে বিশেষ এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির প্রাণ রপ্তানিমূখী শিল্পের শ্রমিকদের প্রণোদনার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বিকাশ সরকারি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সাথে যৌথভাবে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলার সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা তাদের সুবিধামত বিকাশের ই-কেওয়াসি ব্যবহার করে অ্যাপ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন- সে বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে সচেতনতা তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পিন ও ওটিপি গোপন রাখতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই সচেতন করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি সারাদেশে বিকাশের নির্ধারিত ডিজিটাল ই-রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে গিয়েও সামাজিক দূরত্বেও নির্দেশনা মেনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন শ্রমিকরা।
যদি কোন গার্মেন্টস শ্রমিকের জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে শ্রমিকদের জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েও অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হচ্ছে। গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যতালিকা অনুসারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে শুরুতে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর কয়েকটি সহজ ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র স্ক্যান করে এবং নিজের ছবি তুলে কয়েক মিনিটেই একাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন শ্রমিকরা।
নিকটবর্তী ডিজিটাল ই-রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে যে সিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান সেই সিমসহ মোবাইল এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে নিয়ে গিয়ে কয়েক মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে যেকোন পদ্ধতিতেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সেবা পাবেন শ্রমিকরা।
যেসব শ্রমিকের আগে থেকেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করে ঐ অ্যাকাউন্টেই প্রণোদনার অর্থ পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিকাশ সূত্রে জানা যায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যাংক, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিকদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততা, নির্ভুলতা, নিরাপত্তার সাথে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ অগ্রসর হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৪০০টি শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্টস তাদের ৪ লাখের ও বেশি কর্মীর বেতন-ভাতা বিকাশের মাধ্যমে সফলতার সাথে বিতরণ করে আসছে। সেই অভিজ্ঞতা বিশেষ সময়ের এই সেবাকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে জানায় বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেন প্রণোদনার অর্থ পেয়ে তাদের প্রয়োজন অনুসারে ক্যাশআউট করতে পারেন সে লক্ষ্যে এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সারাদেশের অধিকাংশ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। সীমিত ব্যাংকিং সময়, বিভিন্ন বিপনী বিতান বন্ধ, যানবহন সংকটের মত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে নগদ টাকা ও ডিজিটাল মানি সরবরাহ ঠিক রাখতে নিরলস কাজ করছে বিকাশ।
উল্লেখ্য শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাওয়ার পর তা ক্যাশআউট করতে বাড়তি কোন অর্থ প্রয়োজন হবে না। বিকাশ এবং গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে এই খরচ বহন করবে ফলে শ্রমিক তার বেতনের পুরো অর্থই পেয়ে যাবেন।