করোনাভাইরাস সংকটের মুখে নিজেদের মোট কর্মীসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ বা দুইশ’ কর্মী ছাঁটাই করবে গোপ্রো। পাশাপাশি বিক্রয় কাঠামো পাল্টে ফেলে খরচ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
খরচ কমানোর জন্য গোপ্রো ‘ডাইরেক্ট-টু-কাস্টমার’ মডেল অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মডেলে একটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি প্রান্তিক ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করে, কোনো খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে নয়। গোপ্রো’র এই সিদ্ধান্ত প্রায় ১০ কোটি ডলার বাঁচিয়ে দেবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় অর্ধেকেরও কম হবে বলে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী নিকোলাস উডম্যান চলতি বছর কোনো বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
মাত্রই ক্ষতির মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ড্রোনের দিকে ব্যবসা নিয়ে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল আয়। পরে হিরো ৮ ব্ল্যাক ক্যামেরার সাফল্যের মাধ্যমে ওই ক্ষতি অনেকটাই সামলে নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিক্রি বাবদ মোট ৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার উঠিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। অথচ, এবার প্রথম প্রান্তিকে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছে গোপ্রো। অবশ্য কর্মী ছাঁটাই বা ব্যবসা মডেল পাল্টালেও নিজেদের ‘পণ্য রোডম্যাপ’ পরিকল্পনামাফিকই এগোবে বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক বিপণন ব্যবস্থায় সমস্যার মুখে পড়েছে গোপ্রো। ফলে, নিজেদের পণ্য বিক্রির কাঠামো ‘ডাইরেক্ট-টু-কাস্টমার’ মডেলের দিকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তারপরও কিছু প্রধান অঞ্চলে খুচরো বিক্রেতাদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি। ছাঁটাই প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, “এই পরিস্থিতির কারণে আমাদের টিমের এতো মেধাবী সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যথিত করছে। আমরা তাদের অবদানের জন্য সবসময় তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো”।