ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের মানুষদের জন্য প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ছিলেন বটবৃক্ষের মতো। এই খাতের মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন আশ্রয়স্থল। তিনি এমন একজন মানুষ যার কোন খুঁত নেই, তাকে নিয়ে কোন বিতর্ক নেই এবং তার বিরোধীতা করবে এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের মানুষেরা তাকে আজীবন স্মরণ করবে শ্রদ্ধা ভরে।
মন্ত্রী জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী স্মরণে আজ শনিবার বেসিস আয়োজিত স্মরণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিস উপদেষ্টা আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শেখ আবদুল আজিজ, প্রফেসর আবদুল মতিন পাটোয়ারি, বেসিস নেতা এইচ এন করিম, সাবেক সচিব ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী এবং ডঃ মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত থেকে ড. জামিলুর রেজার জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে দেশে কম্পিউটার বিপ্লবে জেআরসি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে জামিলুর রেজার অবদান তুলে ধরে বলেন, দেশের মানুষের কাছে কম্পিউটার সহজ লভ্য করতে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার সাথে এই কমিটিসহ অনেক নীতি নির্ধারণী অসংখ্য কর্মকাণ্ডে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে জামিলুর রেজা কমিটি কম্পিউটারের ওপর থেকে সকল ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, দশ বছরের জন্য কর অবকাশ প্রদান, স্থানীয়ভাবে তৈরি করা সফটওয়্যারের জন্য শতকরা ১৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ প্রাইস প্রিফারেন্স সুবিধা প্রদান, সফটওয়্যার ও ডেটা প্রসেসিং সার্ভিস রপ্তানির ক্ষেত্রে এলসির পরিবর্তে সেলস কনট্রাকট অনুমোদন প্রদান. রপ্তানি খাতে ব্যাংক সুদের হার হ্রাস করা, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার সুবিধা নিশ্চিত করতে সুদবিহীন ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য তহবিল গঠন এবং আইটি গবেষণার জ্ন্য তহবিল গঠন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সুপারিশসহ প্রযুক্তি খাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি এবং সফটওয়্যর ও হাডওয়্যার বাজারজাত করার বিষয়টিও বিষয়েও জেআরসি রিপোর্টে বিস্তারিত আঙ্গিকে তুলে আনা হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখে করেন।#