করোনাভাইরাস এর বিরাজমান পরিস্থিতিতে আর্তমানবতার সেবায় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদান ও আর্থিক সহায়তা সংগ্রহের জন্য ডিজিটাল ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্ম ‘একদেশ’ চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ ডিজিটাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক দেশ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন উপলক্ষে ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একদেশ “একটি সেতু। এটি দাতা ও গ্রহিতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। তিনি বলেন দূর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে হয় না বরং সুষ্ঠ বন্টনের অভাবে হয়ে থাকে। সারাদেশের মানুষের যাকাত এবং আর্থিক অনুদানের এই সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যমে সুষ্ঠ বন্টনের পথে এগিয়ে যাবো আমরা। মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অনুদান দিতে পারবেন। দেশের প্রথম ক্রাউডসোর্সিং ফ্লাটফর্মটির কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতার একটি জায়গা তৈরি হল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রত্যেকে তাঁর যাকাত বা অনুদান ঠিক যেখানে প্রদান করতে চান সেখানেই প্রদান করতে পারবেন। এই সেতুবন্ধনকে করোনা পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের বিভিন্ন বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
যাকাত কিংবা আর্থিক অনুদান প্রদান করতে একদেশ ওয়েবসাইট https://ekdesh.ekpay.gov.bd/ প্রবেশ করতে হবে অথবা ‘একদেশ’ অ্যাপের মাধ্যমেও প্রদান করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাক, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, সেন্টারফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, সিআরপি, সাজেদা ফাউন্ডেশন এই অনুদান গ্রহিতা হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড কিংবা মোবাইল পেমেন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে যাকাত কিংবা অনুদান দেয়ার এই প্লাটফর্ম তৈরি করেছে এটুআই। ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় সুইফ কোডের মাধ্যমেও জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে একপে এর মাধ্যমে অনুদান দেয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্ততায় রেমিটেন্সের টাকাও একদেশ অ্যাপের মাধ্যমে মানবিক তহবিল গড়ে তুলতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রবাসীরাও।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, এটুআই-এর পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী,এটুআই প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ স্কাউটের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আনিস মাহমুদ, ব্রাকের সিইও আসিফ সালেহ, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস, সাজেদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাহিদা ফিজা কবির, ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, সিআরপি প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।