নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে কথা বলার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় কলেজ ছাত্রের পর মারা গেছে মা বানু রানী দাস।
বুধবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বানু রানীর মৃত্যু হয়।
এর আগে রবিবার (০৭ জুন) সকালে পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে মোবাইল চার্জে লাগিয়ে কথা বলার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় মা বানু রানী দাস ও কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাস। অপূর্ব সোনারগাঁও জি আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারি মো. মিজানুর রহমানের ভাড়াটিয়া বানু রানী দাস ও তার ছেলে অপূর্ব দাস। গত রবিবার সকালে মোবাইল ফোনটি চার্জে লাগিয়ে কথা বলছিল অপূর্ব। হঠাৎ সেটি বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে বানু রানী এগিয়ে গেলে সেও মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উভয়কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। দু‘দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত মঙ্গলবার কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাসের মৃত্যু হয়। তার একদিন পর অপূর্ব দাসের মা বানু রানীরও মৃত্যু হলো।
বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান জানান, বিস্ফোরণে নিহত বানু রানী দাসের মাথা ও শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। এর আগে দগ্ধ অবস্থায় যখন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন ছেলেটার কানে হেডফোন ও চার্জারের তার জড়ানো ছিল। তার মুখ ও বুক একেবারে ঝলসে গিয়েছিলো। আর তার মায়ের মাথার চুল ও হাত আগুনে পুড়ে গিয়েছিলো।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের ঘটনায় ছেলের পর আজকে তার মা-ও মারা গেছে। আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি।”