স্মার্টফোন ফেটে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ব্যাটারী সম্পর্কিত বিষয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন কোম্পানি স্যামসাং এবং শাওমির বহু ফোন ফেটে যাওয়ার ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে। এমনকি ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস অ্যাপেলের স্মার্টফোনেও এর আগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এবার এই একই ঘটনা ঘটলো মিডরেঞ্জ সেগমেন্টে ব্যাপক জনপ্রিয় রিয়েলমি এক্সটি এর সাথে। একজন রিয়েলমি ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে তার নতুন ডিভাইস রিয়েলমি এক্সটি কেনার সাথে সাথে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চার্জ দেওয়ার সময় ফেটে গিয়েছে।
ওই ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে, তিনি কোম্পানির দেওয়া আসল চার্জারের মাধ্যমেই তার স্মার্টফোন চার্জ করছিলেন, সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই গ্রাহক দাবি করেছেন যে তার নতুন রিয়েলমি ডিভাইসে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। তবে রিয়েলমি তরফ থেকে এই দাবি সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই গ্রাহক রিয়েলমির পক্ষ থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন। ৯১ মোবাইলস এর রিপোর্ট অনুযায়ী রিয়েলমির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই রিয়েলমি এক্সটি ইউনিটে বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল, এবং সেই কারণেই ওই ইউনিটের ব্যাটারিতে আগুন ধরে গেছে। তাদের কোম্পানির তরফ থেকে কোনরকম সমস্যা হয়নি। ব্যাটারি বাইরে থেকে পাংচার হয়ে গিয়েছিল বলে ওই ব্যাটারিতে আগুন ধরেছে।
রোশন সিং নামের ওই ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে তিনি রিয়েলমি কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে তার ইউনিটের বর্তমান অবস্থা এবং বিলের ছবি তুলে শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু ওই কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকে জানিয়েছে যে, ওই ফোনে বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের মতে, ডিভাইস এর বর্তমান অবস্থা দেখে এরকমই তাদের মনে হয়েছে। তবে টুইটারে এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পর রোশনের সঙ্গে রিয়েলমি যোগাযোগ করে। তারা জানায় যে এই ঘটনাটিকে তারা খতিয়ে দেখবে। এখনো অব্দি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি রিয়েলমি কোম্পানির তরফ থেকে- এমনটাই আমাদের জানিয়েছেন ওই ব্যবহারকারী।
এই ঘটনার পরে রিয়েলমি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,” আমাদের কাছে জিনিসের কোয়ালিটি সবথেকে বড় স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। রিয়েলমি প্রত্যেকটি স্মার্টফোনকে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া হয় বিক্রির আগে। আমরা প্রাথমিকভাবে যা দেখেছি তা থেকে জানা যায় যে ওই রিয়েলমি এক্সটি ইউনিটে বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করা হয়েছিল। এর ফলেই বাইরে থেকে সেই ব্যাটারি পাংচার হয়ে যায় এবং সেই ব্যাটারীতে আগুন ধরে যায়।”