বাংলাদেশের স্মার্টফোন জগতে নতুন চমক নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বাজারে এলো ওয়ালটনের ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোন। স্মার্টফোনপ্রেমীদের অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটলো। বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি দুর্দান্ত ফিচারসমৃদ্ধ ওই ফ্ল্যাগশিপ ফোনটির মডেল ‘প্রিমো এসসেভেন প্রো’। ইভ্যালির ঈদ ধামাকা অফারে ১০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক সুবিধায় ফোনটি কেনা যাচ্ছে।
ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান বলেন, নতুন এই ফোনে ক্যামেরার পাশাপাশি হাই পারফরমেন্সের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে শক্তিশালী প্রসেসর ও র্যাম, বেশি জায়গাযুক্ত রম এবং দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে। ফোনটির ডিজাইন এবং ফিচার স্মার্টফোনপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। যার ফলে তারা এতদিন ফোনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি জানান, ‘প্রিমো এসসেভেন প্রো’ ফ্লাগশিপ ফোনটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়েছে। ইভ্যালিতে এর দাম রাখা হয়েছে ২০,৫০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ঈদ ধামাকা অফারে ফোনটি ১০০ শতাংশ ক্যাশব্যাকে কেনা যাচ্ছে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, ৬.৩ ইি র ফুল এইচডি প্লাস আইপিএস ডিসপ্লের ফোনটির পর্দার রেজ্যুলেশন ২৩৪০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। রয়েছে ২.৫ডি কার্ভড গ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং হবে আরো প্রাণবন্ত। এটি ব্ল্যাক এবং ব্লু দুটি ভিন্ন রঙে বাজারে ছাড়া হয়েছে। ফোনটির ব্যাককভার গ্লাস টাইপ পিএমএমএ ম্যাটেরিয়ালে তৈরি। যা আলোতে রঙধনুর মতো বিভিন্ন রঙ ধারণ করে। ফলে ফোনটি হয়ে উঠেছে আরো মনোমুগ্ধকর এবং স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী।
অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ফোনটির উচ্চগতি নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২.১ গিগাহার্জের হেলিও পি৭০ অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে দ্রুতগতির ৬ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম। উন্নতমানের গেমিং ও স্পষ্ট ভিডিওর অভিজ্ঞতা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে মালি-জি৭২ এমপিথ্রি গ্রাফিক্স। এর ইন্টারনাল স্টোরেজ ১২৮ গিগাবাইট। এটি ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট করবে। ফলে অনেক বেশি ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টস ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যাবে।
এই স্মার্টফোনের পেছনে ব্যবহৃত হয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ৪৮, ৮ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল অটোফোকাস ক্যামেরা। যাতে রয়েছে ৩০এক্স জুমসহ ১০৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা পিক্সেল মোড। এফ ১.৭৯ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ এই ক্যামেরায় ব্যবহৃত হয়েছে পিডিএএফ প্রযুক্তি। ১/২.২৫ ইি সেন্সরের ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান কামেরায় ছবি হবে নিখুঁত উজ্জ্বল ও রঙিন। আর ৮ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা দেবে ১২০ ডিগ্রি ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলার সুবিধা। আর ২ মেগাপিক্সেলের তৃতীয় ক্যামেরা নিশ্চিত করবে ছবি ডেফথ অব ফিল্ড।
দুর্দান্ত সেলফির জন্য এই ফোনের সামনে আছে পিডিএএফ প্রযুক্তির এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় পাশের ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে।
ক্যামেরায় নরমাল মোড ছাড়াও রয়েছে প্রো মোড, এআই ফেস বিউটি, ফেস ডিটেকশন, ডিজিটাল জুম, সেলফ টাইমার, অটো-ফোকাস, টাচ-ফোকাস, টাচ-শট, এইচডিআর, টাইম ল্যাপস, স্লো মোশন, প্যানোরমা, স্মার্ট সিন, নাইট মোড, ওয়াইড শট, বিএসআই, অ্যান্টি ফ্লিকার, স্মাইল শট, পোরট্রেইড মোড, ফিংগারপ্রিন্ট ক্যাপচার, জিও ট্যাগিং, কার্ড স্ক্যানার, জিফ, ওয়াটারমার্কসহ অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচার।
ফ্ল্যাগশিপ ফোনটির প্রয়োজনীয় পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে আছে ৩৯৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। টাইপ সি পোর্টযুক্ত ফোনটিতে ১০ ওয়াট ওয়ারলেস চার্জিংসহ ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা রয়েছে। যার ফলে খুব অল্প সময়েই ফুল চার্জ দেয়া সম্ভব হবে।
ডুয়াল সিমের ফোরজি ভিওএলটিই সুবিধার স্মার্টফোনটির সুরক্ষায় রয়েছে ফেস আনলক এবং মাল্টিফাংশনাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। কানেক্টিভিটির জন্য আছে ২.৪ এবং ৫ গিগাহার্জ ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪.২, ইউএসবি টাইপ-সি, ওয়্যারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ওটিএ ও ওটিজি সুবিধা। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফেস আইডি, এআই রেকগনিশন ইত্যাদি।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এই ফোনে ৩০ দিনের ইনস্ট্যান্ট রিপ্লেমেন্টসহ ১০১ দিনের প্রায়োরিটি সেবা এবং এক বছরের বিনামূল্যের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।