আগের রাতে খেতে বসে ঠিক হওয়া আউটিংয়ে বেরোনোর জন্য গাড়ি ছাড়ার মুহূর্তে দেখলেন বাকি সবকিছু গোছগাছ করে নিলেও মোবাইলের ব্যাটারি নেমে এসেছে ৫%।
অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কন-কল, ওয়েবিনার বা গুগল মিটের বাকি মাত্র ১০ মিনিট। কাগজপত্র-প্রেজেন্টেশনে শেষ মুহূর্তে চোখ বোলানোর ফাঁকে হঠাৎই মোবাইলের ব্যাটারির ইন্ডিকেটর জানান দিল, ১০% নীচে নেমে আসায় ব্যাটারি সেভার অন করা উচিৎ।
এ সমস্যা আমার-আপনার সবার। নিউ-নর্ম্যালে স্মার্টফোন এখন বেঁচে থাকার অক্সিজেনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার হৃদযন্ত্রকে পর্যাপ্ত ‘চার্জ’ দেওয়ার কথাটাই আমরা ভুলে যাই হামেশাই। আসলে একে রোজ হাজারো ফোন কল, দিনভর হোয়াটসঅ্যাপ-টুইটার-ইনস্টাগ্রামে আপডেট থাকা, তারপর মেল করা-ইনবক্স চেক আর ফরোয়ার্ড করা, অফিসের ভার্চুয়াল মিটিং-এর পরেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে রিল্যাক্স করতে টুক করে একটু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চোখ রাখা বা গান শোনা, কখনও-সখনও অনলাইন বা অফলাইনে ইনস্টল করা গেমসে হাত পাকানো-একটা যন্ত্র দিয়ে এতকিছু করার ফাঁকে তাকে চার্জ দেওয়ার কথাই ভুলে যাই আমরা সবাই।
সোমবার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য কোয়ালকম ক্যুইক চার্জ ৫ প্রযুক্তি আনার কথা সরকারি ভাবে জানালেন কর্তৃপক্ষ, যেখানে মাত্র পাঁচ মিনিটেই ব্যাটারিতে চার্জ ০ থেকে একেবারে ৫০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। ফলে আপৎকালীন যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। আর ব্যাটারি পুরো চার্জ করার জন্যও কোনও মতেই ১৫ মিনিটের বেশি লাগবে না। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে বাজারে বর্তমানে থাকা দ্রুতগতির মোবাইল চার্জিং প্রযুক্তি, যেমন আইকিউকিউকিউ-এর ৫৫ ওয়াট সুপার ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি, রিয়েলমি ভুক চার্জিং বা অপ্পোর এয়ারভুক চার্জিং-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এই ক্যুইক চার্জ ৫ প্রযুক্তি, যেখানে বিশ্বে সর্বপ্রথম ১০০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ করার ক্ষমতা থাকছে। পাশাপাশি ব্যাটারির স্বাস্থ্য এবং ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে ব্যাটারি চার্জের সময় ১০ ডিগ্রি সেলশিয়াস অবধি ঠাণ্ডা থাকবে।