করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে ৫০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ব্লুটুথভিত্তিক কনট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইস (টোকেন) বিতরণ করতে শুরু করেছে সিঙ্গাপুর সরকার।
সিঙ্গাপুরের কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে ‘ট্রেসটুগেদার’ নামের ডিভাইসটি। ডিভাইসটি গলায় ঝুলিয়ে রাখা যাবে বা সঙ্গে বহন করা যাবে।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপের মতোই ব্লুটুথের মাধ্যমে একই ধরনের অন্যান্য ডিভাইসের খোঁজ করে এই ডিভাইসগুলো এবং কনট্যাক্ট লগগুলো সংগ্রহ করে।
মোবাইল ফোন নেই বা যারা স্মার্টফোনের অভাবে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছেন না সেসব বাসিন্দার মধ্যে জনপ্রিয় হতে পারে কনট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইসটি।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমাতে এবং অর্থনীতি আরও উন্মুক্ত করতে সহায়তা করবে ডিভাইসটি।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, ডিভাইসটি সম্মেলনের মতো বড় ব্যবসায়িক আয়োজনগুলোও পুনরায় চালু করতে সহায়তা করবে। ব্যস্ত হোটেল, সিনেমা হল এবং ব্যায়ামাগারের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতেও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে সহায়তা করবে ডিভাইসটি।
বয়স্ক ব্যক্তি যাদের পারিবারিক সমর্থন কম বা একেবারেই নেই বা চলাফেরায় সমস্যা রয়েছে তাদেরকেই প্রথম ব্যাচের ডিভাইস সরবরাহ করছে দেশটি।
পরবর্তীতে বিদেশিসহ সব বাসিন্দাকে ডিভাইসটি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুর সরকার।
বর্তমানে ‘সেইফএন্ট্রি’ নামের একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে দোকান এবং অফিস ভবনে প্রবেশ করেন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দারা। কিউআর কোডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
সিঙ্গাপুরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে এখন অ্যাপ বা কনট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইসের মাধ্যমে চেইক ইন করতে হবে বাসিন্দাদেরকে।
গোপনতা নিয়ে যারা শঙ্কিত তাদের জন্য অ্যাপের চেয়ে কনট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইস বেশি কার্যকরি হবে বলেও মত দিয়েছেন অনেক।
প্রথম দিন ডিভাইসটি সংগ্রহ করতে আসা সিঙ্গাপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “অ্যাপের বদলে টোকেন ব্যবহার করতেই আমি বেশি পছন্দ করবো।”
অ্যাপের মতো গ্রাহকের তথ্য ডিভাইসেই মজুদ থাকে। আর এই ডিভাইসগুলোর ডেটা শুধু তখনই আপলোড করা হয় যখন গ্রাহক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তার ডিভাইসটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
গলায় বা ব্যাগের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা যাবে ডিভাইসটি এবং এটি চালাতে কোনো স্মার্টফোন লাগবে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।