রাজধানীতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। প্রধান সড়ক কিংবা বাসা-বাড়ির সামনে আর তারের স্তুপ ঝুলবে না। মাত্র একটা অপটিক্যাল কেবলে সংযুক্ত থাকবে প্রতিটি ভবন, যা কমন নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার হবে। এখান থেকে পছন্দমত যেকোন কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকরা, এরজন্য গ্রাহককে দিতে হবে না কোন বাড়তি খরচ।
লতি সপ্তাহেই ধানমন্ডি এলাকায় এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবে আইএসপিএবি। এর সুবাদে প্রতিটি ভবনে লাইন টানা হবে মাটির নীচ দিয়ে। যা ব্যবহার করতে পারবেন সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এটি বাস্তবায়নে নীতি সহায়তা চায় আইএসপিএবি। তবে এনটিটিএন অপারেটরা বলছেন, এই উদ্যোগ হতে হবে সমন্বিত, বাস্তবায়ন করতে হবে ট্রান্সমিশন নীতিমালা অনুসরণ করেই।
মাটির নীচ দিয়ে ইন্টারনেট সেবার জন্য, ২০০৯ সালে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক-এনটিটিএন লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। উদ্দেশ্য, এই কেবল ভাড়া নিয়ে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা দেবে আইএসপিরা। তারের জঞ্জালমুক্ত সেবা দিতে, সিটি কর্পোরেশন সহ সকল অংশীজনদের নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা চান এনটিটিএন অপারেটররা।
এনটিটিএন গাইড লাইন মেনেই নতুন প্রযুক্তিতে সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করে, আইএসপিএবি। নভেম্বরের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে থাকা সব তার অপসারণের সময় বেধে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।