দ্রুততম সময়ে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ও সহজভাবে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সদস্য-বান্ধব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সদস্য সেবার মানোন্নয়নে নানাবিধ র্কাযক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর ২০২০ আয়োজিত একটি অনলাইন ওয়েবিনারে ওয়েবসাইট ও অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। বেসিসের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে আরও অংশগ্রহণ করেন বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি এস এম কামাল, হাবিবুল্লাহ এন করিম, রফিকুল ইসলাম রাউলি, মাহবুব জামান, সারওয়ার আল, বেসিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট –অ্যাডমিন শোয়েব আহমেদ মাসুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা ও ১ম সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন,-“করোনার কারনে আমরা বুঝে গিয়েছে দুনিয়া ডিজিটাল হয়েছে। ভাইরাসের কারনে বিশ্ব বুঝতে সক্ষম হয়েছে ডিজিটাল অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল। যে সকল দেশ স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে তারাই মহামারী সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে, যেমন: চীন, জাপান, মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য দেশ যারা সকলেই ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এছাড়াও সরকারের ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তি বিষয়ক নীতিমালা তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেণ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের বক্তব্যে যেটি উঠে আসে তা হলো, এই পথচলা আমাদের কাজকে আরও তথ্যবহুল, সহজ, গতিশীল ও লিংকআপ করবে করে দিবে।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমানের বক্তব্যে তিনি বেসিসের সকল সদস্যদের প্রতি আহবান জানান তারা যেন নতুন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে যুক্ত হয়ে বেসিসের এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।বেসিস সদস্যগণ উক্ত ইন্টারেক্টিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং অ্যাপ ব্যবহার করে বেশিরভাগ সদস্যসেবা অনলাইনেই গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
বেসিসের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর তার বক্তব্যে বলেন, “বেসিসের নতুন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল সদস্যদরে জন্য আলাদা আলাদা আইডি থাকবে, যারা মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সকল তথ্যও আলাদাভাবে সংরক্ষিত থাকবে। যা আগের থেকে অনেক সহজতর হয়েছে যেমন: সদস্যদের তথ্যাদি, লেনদেন ইত্যাদি।”