২০১৮ সালের প্রথমদিক থেকেই স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো নিয়মিত বাজারে আনতে শুরু করেছিল তিন বা এর অধিক ক্যামেরাযুক্ত সেন্সর স্মার্টফোন। খুবই কম সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয়তাও পেতে থাকছে মাল্টি-ক্যামেরা সেটআপ সম্বলিত স্মার্টফোনগুলো। সম্প্রতি বিশ্লেষক সংস্থা ওমডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মর্ডার্ন যুগে ট্রিপল ক্যামেরা সলিউশনের চাইতে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রাহকদের মাঝে।
দিনকে দিনকে কোয়াড ক্যামেরা সলিউশনের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা মনে করছে, কোয়াড ক্যামেরা সেটআপে একত্রে বিভিন্ন ধরণের লেন্স এবং সেন্সর থাকে, যার কল্যানে ব্যবহারকারী কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ না করে দুর্দান্ত সব ছবি তুলতে পারেন। ওমডিয়ার মতে, মূলত এখন কোয়াড ক্যামেরা শুধুমাত্র প্রিমিয়াম সেগমেন্টের জন্যই নয়, বর্তমানে মিডরেঞ্জসহ লো রেঞ্জের ডিভাইজগুলোতেও কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ দেয়াটা অনেকটা প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে শিপমেন্ট হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনের মধ্যে ৬০ শতাংশই ছিল কোয়াড ক্যামেরা সম্বলিত ডিভাইজ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোয়াড ক্যামেরা স্মার্টফোন সরবারহ করে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চাইনিজ টেক জায়ান্ট শাওমি। তালিকায় শাওমির পরপরই অবস্থান করছে রিয়ালমি। এরপর ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অপ্পো, হুয়াওয়ে, ভিভো ও স্যামসাং। এসময়ে রিয়ালমিই এক মাত্র ব্র্যান্ড যারা সিঙ্গেল ক্যামেরা যুক্ত কোন স্মার্টফোন শিপমেন্ট করেনি অন্যদিকে iPhone SE 2020 দিয়ে বাজারের এক তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছে অ্যাপল।
ওমডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চাইনিজ টেক জায়ান্ট শাওমির প্রতি পাঁচটি স্মার্টফোনের তিনটিতেই রয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ এবং এর ৮০ শতাংশের অধিক স্মার্টফোনে মাল্টিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে যার কারণে কোয়াড ক্যামেরা মার্কেটে শক্ত স্থানে রয়েছে শাওমি। ধীর ধীরে স্মার্টফোনে মাল্টি-ক্যামেরা সেটআপ এর চাহিদা বাড়লেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ডিভাইজে ব্যবহৃত রেগুলার ও আলট্রা ওয়াইড লেন্স কার্যকরী হলেও লো-মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ও ডেপ্ত সেন্সর একেবারেই ইউজলেস।