শ্বে ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা স্মার্টফোন নির্মাণ করে আসছে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নামও হয়তো অজানা। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের উৎপাদন,পণ্যের গুণগত মান, ব্র্যান্ডিং, ব্যবসায় নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করছে।
২০২০ সালের বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে ইন্ডিয়ার স্ট্রেস রিচার্স নামে একটি গবেষণা সংস্থা। গবেষণার আলোকে সেই ৫ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিশদ তুলে ধরা হলো।
১। স্যামসাং: তালিকার শুরুতেই উঠে এসেছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এর নাম। স্মার্টফোন শিল্পে বিশ্বজুড়ে নেতৃত্বের পর্যায়ে রয়েছে স্যামসাং। গ্রাহক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ-মধ্যম ও নিম্ন রেঞ্জের ফোন তৈরি করে আসছে। স্যামসাংয়ের সবশেষ সংস্করণ হলো গ্যালাক্সি এস৯। শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ধরে রেখেছে।
বছর শেষে স্যামসাংয়ের ইউনিট শিপিং ৩১৫ মিলিয়ন, প্রফিট ১৮ হাজার ৯৪৭ মিলিয়ন এবং ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৬২৫ মিলিয়ন বিক্রির পরিমান দাঁয়িড়েছে।
২। অ্যাপল: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো অ্যাপল। মূলত প্রতিষ্ঠানটি তাদের অসাধারণ নকশা আর বৈশিষ্টযুক্ত পণ্যের কারণে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাপলের সারা বিশ্বের ২২ টি দেশে ৪৯৯ টি বিক্রয় সেন্টার রয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম জেনারেশনের আইফোন আনে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরে অ্যাপলের ইউনিট শিপিং এর পরিমাণ ২১৫ মিলিয়ন, লভ্যাংশ ৪৮ হাজার ৩৫১ মিলিয়ন ডলার ও বিক্রির পরিমাণ ২ লাখ ২৯ হাজার ২৩৪ মিলিয়ন ডলার।
৩। হুয়াওয়ে: বিশ্ব জুড়ে হুয়াওয়ের অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী কেন্দ্রে রয়েছে। বর্তমানে হুয়াওয়ে ১৭০ টিরও বেশি দেশে তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালনা করে আসছে। বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন কোম্পানি হিসেবে ২০১৮ সালে লেইকা ট্রিপল ক্যামেরাযুক্ত পি২০ এবং পি২০ প্রো ফোন নিয়ে আসে হুয়াওয়ে। উচ্চ রেজ্যুলেশনের ক্যামেরার উদ্ভাবন প্রতিষ্ঠানটিকে একক শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২০২০ সালে ১৫২ মিলিয়ন পাঠানো ইউনিটে লভ্যাংশ দাঁয়িড়েছে ৬ হাজার ৮৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৬৪৬ মার্কিন ডলার।
৪। অপো: বছরের পর বছর ধরে অপো গ্রাহকের চাহিদা ও কেনার সামর্থ্য বিবেচনা করে তাদের স্মার্টফোনগুলি বাজারে এনেছে। ইতোমধ্যে অপো স্মার্টফোন বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। উচ্চ মানসম্মত পণ্যের আধুনিক বিপনন প্রচারণা ও ব্র্যান্ডিং তাদের শীর্ষ স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত করেছে।
চলতি বছরে ১১১ মিলিয়ন ইউনিট শিফট করে ১ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লভাংশ আসে প্রতিষ্ঠানটির। যেখানে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
৫। ভিভো: ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বাজারে আসে ভিভো। প্রথম কোন অ্যান্ড্রয়েড ফোন হিসেবে অ্যাপলের আইফোন এক্স এর মতো নোচ ডিসপ্লে যুক্ত ফোন বাজারে আনে ভিভো। ৯৫ মিলিয়ন ইউনিট শিফট করে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে ভিভো। তাদের প্রফিট এক হাজার ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বিক্রির পরিমান ৪৬ হাজার ৪৮৪ মার্কিন ডলার।