স্মার্টফোন প্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত একটি নাম কোয়ালকম। স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের বদৌলতে দাপটের সাথেই মোবাইল চিপসেট বাজার ডমিনেট করে যাচ্ছে কোয়ালকম। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নিজেদের চিপসেটগুলোকে আরও শক্তিশালী ও সহজলভ্য করে তুলতে খুব শীঘ্রই ১.৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে চিপসেট নির্মাতা সংস্থা নুভিয়া (NUVIA)’কে কিনতে যাচ্ছে কোয়ালকম। নুভিয়া নামটি হয়তো অনেকের কাছেই নতুন লাগতে পারে এবং সেটি অস্বাভাবিকও নয়। বলে রাখি, নুভিয়া নামের চিপসেট ডিজাইনিং স্টার্টআপটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে একটি নতুন স্টার্টআপ এর মূল্য এতটা কিভাবে হতে পারে? এর কারণ লুকিয়ে আছে নুভিয়ার প্রতিষ্ঠাতাদের পিছনে। জেরার্ড উইলিয়ামস, জন ব্রুনো এবং মনু গুলাটি এর মতো ডেভেলপারদের জন্যই মূলত নুভিয়ার এতটা কদর। এই তিনজন এর আগে অ্যাপল এর চিপসেট তৈরিতে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। এছাড়া গুগল, এআরএম, এএমডি, ব্রোডকম এর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই তিনজনের।
নুবিয়া এর সিইও জেরার্ড উইলিয়ামস অ্যাপলের এ৭ থেকে শুরু করে এ১৪ চিপসেট পর্যন্ত সবগুলো তৈরিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। কোয়ালকম জানিয়েছে, নুভিয়ার সাথে যৌথভাবে তারা ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের আরও উন্নত চিপসেট বাজারে আনতে চায়। এসব সিপিইউ স্মার্টফোনের পাশাপাশি ল্যাপটপ ও স্মার্টকারেও ব্যবহার করা হতে পারে। গত আগস্টে নুভিয়া তাদের নিজস্ব সিপিইউ ফিনিক্স (phoenix) এর সাথে অ্যাপলের এ১৩ সিপিইউ এবং ইন্টেল ও এএমডির বিভিন্ন চিপসেট এর সাথে পারফরম্যান্স কম্পেয়ার করে একটি গিকবেঞ্চ স্কোর প্রকাশ করে।
যেখানে দেখা যায়, মাত্র ১ ওয়াট থেকে ৪.৫ ওয়াট খরচ করে এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় দ্বিগুন পারফরম্যান্স দিতে পারে নুভিয়ার ফিনিক্স সিপিইউ। উল্লেখ্য, এখানে প্রতি ওয়াট খরচ করে একটি চিপসেট কতটা পারফরম্যান্স দিতে পারে সেই হিসাব করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীতে আরও উন্নত ও পাওয়ারফুল চিপসেট আমাদের উপহার দিতে পারবে কোয়ালকম। তবেই কেবল অ্যাপলের নিজস্ব চিপসেটের সাথে কোয়ালকমের প্রতিযোগিতা আবারও জমে উঠতে পারবে।