‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেবে বাংলাদেশ’-বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নরসিংদীর শিবপুরের আমতলায় স্যামসাংয়ের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে স্যামসাং এখানে প্রায় ১৫ লাখ মোবাইল তৈরি করেছে। আগামী বছর থেকে এই কারখানা থেকে ২৫ লাখ মোবাইল তৈরি করবে। আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে আর কোনো স্যামসাং মোবাইল আমদানি হবে না। এমনকি এস ২১ ফোন তৈরি করছে। দুই-এক বছরের মধ্যে স্যামসাংয়ের টিভি, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশন ও স্মার্টফোন কেবল বাংলাদেশে তৈরিই হবে না বিদেশে রপ্তানী শুরু হবে। অল্পদিনের মধ্যেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিণত হবো।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে স্যামসাং বাংলাদেশে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অসহযোগীতা ও হাওয়া ভবনের অনৈতিক প্রস্তাবের কারণে স্যামসাং সেই বিনিয়োগ বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে ভিয়েতনামে করে। যার ফলে ভিয়েতনাম গত ১৫ বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা বিশ্বে তারা রপ্তানী করে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। যা বাংলাদেশের করার কথা ছিলো ‘
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে আইসিটি খাতে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। আইসিটি খাতে সফটওয়ার, হার্ডওয়ার রপ্তানী করে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা ২১ সালে ২০ লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। ২০২৫ সালে আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দক্ষজনবল সৃষ্টির মাধ্যমে নরসিংদীতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিওবেশন সেন্টার ও হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জ্যাং কেয়ান, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের বাবস্থাপনা পরিচালক হয়্যানসাং উ, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের প্রাক্তণ বাবস্থাপনা পরিচালক স্যাংওয়ান ইউন, ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব, ডিরেক্টর মুতাসিম দাইয়ান, উপদেষ্টা মেজর জেনারেল হামিদ আর চৌধুরী, চীফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন, ডিরেক্টর অপারেশন ফিরোজ মোহাম্মদ, হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলিম কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের জুন মাসে ২৩ একর জায়গার উপর নির্মিত ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের কারখানা যাত্রা শুরু করে। কারখানাটিতে বর্তমানে ১৭০০ কর্মী কাজ করছেন।