ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পর্যটন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় এক খাত। বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, এখানকার মানুষদের অতিথি পরায়নতা কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে পর্যটন খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি দেশের বিকাশমান পর্যটন শিল্পকে একটি শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরদের যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে বেসরকারি ট্যুরিস্ট অপারেটরদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্যুরিস্ট অপারেটর বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত ট্যুরিজম বিকাশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী পর্যটকদের জন্য পর্যটন এলাকায় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার পাশাপাশি মার্কেটিং ও গ্রুপ ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করবে। তিনি বলেন, একসময় ট্যুরিজমের জন্য দেশে অবকাঠামো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের পর্যটন শিল্প এক নতুন মাত্রায় রূপ নিয়েছে। দেশে কক্সবাজারের সাবরাংয়ে পর্যটকদের জন্য বিশেষ পর্যটন জোন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একসময় দেশে পর্যটকরা সীমিত এলাকায় পর্যটনে আগ্রহী ছিল। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের এখন টাঙ্গুয়ার হাওর, সুন্দরবন, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন বা দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গায় ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে।
মন্ত্রী একযুগেরও বেশি সময় এখাতের বিকাশে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, দেশে গত এক দশকে গড়ে উঠা অবকাঠামো বিদেশি পর্যটকদের জন্য গ্রহণযোগ্য মাত্রার। বাংলাদেশ ভ্রমণে বিদেশিদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পারলে পর্যটন খাতে আরও সৃদৃঢ় অবকাঠামে গড়ে উঠবে এবং এখাতে বিনোয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে টোয়াবকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন খাতের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি ও অবকাঠামো গড়ে তোলার পর ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কিভাবে এই খাতের বিকাশে কাজে লাগানো যায় সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীন ট্যুরিজমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্যুরিজমের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। তিনি বলেন, দেশকে বিদেশে তুলে ধরতে পর্যটন শিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এই খাতে কর্মসংস্থানের্ও বিরাট সুযোগ রয়েছে।
টোয়াব সভাপতি মো: রাফিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দেব এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাভেদ আহমেদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা পর্যটন শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।